০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৭:৫৪

খালেদা জিয়াকে হাসির পাত্র করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

ড. হাছান মাহমুদ ও বেগম খালেদা জিয়া  © ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্র্যাসি’ সম্মাননা দেওয়া প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‌খালেদা জিয়াকে মাদার অব ডেমোক্রেসি পদক দেওয়া হলো, আর বিএনপি জানল সাড়ে তিন বছর পর। পুরো বিষয়টি হাস্যকর। এখানে খালেদা জিয়াকে হাসির পাত্র করা হয়েছে।

বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ন্ত্রীর দফতরে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে কানাডার একটি সংগঠন মাদার অব ডেমোক্রেসি বলে সনদ দিয়েছে। যে সংগঠনের নাম কেউ জানে না, যার জন্মেরও বেশি দিন হয়নি। এটি আবার ফখরুল সাহেবরা ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু করেছেন। সনদ দেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই। বিএনপি জানল সাড়ে তিন বছর পর। আসলে পুরো বিষয়টি হাস্যকর। এখানে বেগম খালেদা জিয়াকে একদম ‘লাফিং স্টক’ হিসেবে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বেগম জিয়া

খালেদা জিয়াকে দেয়া সনদের সমালোচনায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছেন। সেখানে এটাও উল্লেখ করা হয়েছিল বিএনপি যেভাবে জ্বালাও পোড়াও করেছে, তারা ভবিষ্যতেও এরকম করতে পারে। সেখানে আবার একটি তথাকথিত হিউম্যান রাইটস অরগানাইজেশন থেকে তারা (বিএনপি) আবার একটি সনদ কিনেছেন।

ভারতের হাইকমিশনারের সাক্ষাতের প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের রাষ্ট্রদূত আজ এখানে এসেছিলেন। আমরা দ্বিপক্ষীয় অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের অনেকগুলো চ্যানেল ত্রিপুরায় দেখা যায়। সেখানে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তেমন একটা প্রতিবন্ধকতা নেই। কিন্তু পশ্চিম বাংলায় এগুলো দেখা যায় না। সেখানের ব্রডকাস্টাররা অনেক টাকা চায়। এটা কীভাবে সহজ করা যায় সে প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: খালেদার আত্মত্যাগের প্রশংসা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে: ইউট্যাব

মন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেকগুলো চ্যানেল এবং পত্রিকার রিপোর্টার কলকাতায় কাজ করেন। তাদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। তারা যেন সহজেই সেটি পান সে বিষয়ে কথা হয়। এ ছাড়া দুই দেশের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটি সিনেমা করার চুক্তি হয়েছে। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে তানভীর মোকাম্মেলকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে একজন যুগ্ম পরিচালকের নাম দেওয়ার কথা, সেটি আমরা এখনো পাইনি।