কলেজের গ্রন্থাগারিকদের বেতনগ্রেড নিয়ে হাইকোর্টের রুল
জাতীয়করণকৃত কলেজে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরতদের বেতন ১৪ ও ১৬ গ্রেডের পরিবর্তে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে নির্ধারণের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন, অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ‘ঘ’ ইউনিট না থাকলেও বিভাগ পরিবর্তনের সুযোগ থাকছে
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রয়ারি) ২৩ প্রার্থীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, জাতীয়করণকৃত কলেজে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরত কর্মকর্তারা ৯ম ও ১০ম গ্রেডে এমপিওভুক্ত হন এবং কলেজ জাতীয়করণের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ৯ম ও ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়।
অন্যদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালে এবং ২০১৭ সালে একই ধরনের কর্মকর্তাদের নবম ও দশম গ্রেডে বেতন অনুমোদন করে। কিন্তু রিট আবেদনকারীদের বিষয়ে ৯ম ও ১০ম গ্রেডের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে, যা বৈষম্যমূলক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ইমো এত জনপ্রিয় কেন
এ কারণে ২৩ জন গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক রিট দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।
রিট পিটিশনারগণ হলেন- আবুল কালাম মোহাম্মদ ফরহাদ, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রূপনা মজুমদার, শাহজাদি আক্তার, বিপ্লব কুমার দাস, রাবিয়া আক্তার,আনিচাত-উর-রাইয়ান বিনতে খুরশেদ, মোহাম্মদ লুৎপর রহমান, এ.কে.এম রেজাউল করিম এবং সেলিম হোসেনসহ ২৩ জন।