০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩:৪৫

সাতকানিয়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের গোলাগুলি

গোলাগুলি  © সংগৃহীত

চট্টগ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সকালে সাতকানিয়ার খাগরিয়াতে দুই বিবদমান চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্য এ অবস্থা চলে। এ ঘটনায় খাগরিয়া ইউনিয়নের দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন: ২৩ দিন ধরে বাসায় বসে অফিস করছেন শাবিপ্রবি উপাচার্য

আওয়ামী লীগের আকতার হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ভোট বন্ধ করা কেন্দ্র গুলো হলো খাগরিয়া গনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্র।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুই কেন্দ্রে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। প্রথমে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারামারি হয়। এরপর দুই পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে চড়াও হয়। গোলাগুলিতে ভোটকেন্দ্র থেকে সাধারণ ভোটাররা পালিয়ে যান।

গনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। চারদিক থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। এ অবস্থায় আমরা ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দিই। এর আগপর্যন্ত ২০০টির মতো ভোট পড়ে।

এই কেন্দ্র থেকে শ খানেক গজ দূরত্বে খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্র। ওই কেন্দ্রের বাইরেও দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয় প্রায় একই সময়ে। ওই কেন্দ্রেও ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় এক পক্ষ আরেক পক্ষের দিকে অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে যায়। সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবির সদস্য উপস্থিত হন সেখানে। তাঁদের উপস্থিতিতেও গোলাগুলি চলছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গনিপাড়া কেন্দ্রে উপস্থিত হন পুলিশ সুপার রশিদুল হক। পরে র‍্যাবও সেখানে যায়। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্র দুটিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

আরও পড়ুন: হিমেলের নামে ভবনের নামকরণ করল সহপাঠীরা

দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। দুই পক্ষে মারামারি শুরু হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুটি গুলি করে।

গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারণার সময় নৌকার প্রার্থী আকতার হোসেন প্রকাশ্যে গুলি করার ঘোষণা দেন। এই ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশ তাঁর লাইসেন্স করা অস্ত্র দুটি জমা নেন।