যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা শাস্তি নয়, সতর্কতা: কৃষিমন্ত্রী
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশকে শাস্তি দেয়ার জন্য নয়, সতর্ক করার জন্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আজ রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলারের বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি জানান, তাদের আলোচনায় দুই দেশের কৃষি, অর্থনীতি, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যুর সঙ্গে র্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও উঠে আসে।
আরও পড়ুন- রণক্ষেত্র শাবি, তালা ভেঙে ভিসিকে উদ্ধার করল পুলিশ
মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটিতে উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে একইভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানবাধিকারের বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে তারা প্রশংসা করেছেন। তাদের ধারণা কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। সেটার উন্নতি হওয়া দরকার। তারা আশা করে এটা হবে।
নিষেধাজ্ঞার জন্য উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে একইভাবে বিবেচনা করায় হতাশা প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি বলেছি বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
মন্ত্রী বলেন, আমি তাদের বলেছি আমাদের দেশে মানবাধিকার পরিস্থিত ভাল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। বাংলাদেশ কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করেছে। কিছু জায়গায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হয়তো ভুল করেছে। সেজন্য ১৯০ জন র্যাব কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে কথা বলবেন। যাতে দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন- শাবিতে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের গুলি-টিয়ার শেল
সাক্ষাৎকালে দেশের কৃষি উৎপাদনের অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ইউএসএর মধ্যে কৃষিখাতে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইউএসএ বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা সিস্টেম (এনএআরএস) উন্নয়নে বেশ সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে কৃষি উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউএসএর মধ্যে কৃষিখাতে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে কৃষি বাণিজ্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন ইউএসএর কৃষি পণ্যের ২৬তম বাজার। সামনের দিনগুলোতে কৃষিখাতে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে মেগান ফ্রান্সিস ।