ধর্ষণের অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশসহ ৪ জন কারাগারে
নোয়াখালীতে সুধারাম মডেল থানার বেষ্টনীর মধ্যেই ২৩ বছর বয়সী তরুণীতে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে সদরের সুধারাম থানাসংলগ্ন ট্রাফিক পুলিশের মেসের বাবুর্চির কক্ষে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মুকবুল হোসেন (৩২), অটোরিকশাচালক মো. কামরুল (২৫), স্থানীয় বাসিন্দা নুর হোসেন (৩০) ও আবদুল মান্নান (৪৯)। তাঁদের আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কচ্ছপ গতিতে চলছে রাবির ওয়াইফাই সেবা
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমান পাঠান মামলার এজহারের বরাত দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিম ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। জেলা শহরে অবস্থানকালে তার টাকা-পয়সার সংকট দেখা দিলে ভিকটিম তার পূর্বপরিচিত সিএনজি চালক মো. কামরুলের সঙ্গে দেখা করেন। ঢাকায় ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আসামিদের কাছে সহায়তা চান।
একপর্যায়ে কামরুল এবং তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল (মুন্সি) মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ভিকটিমকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনার পরপরই ভিকটিম পাশের সুধারাম থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।
ধর্ষণের শিকার তরুণী জেলার সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা। মেয়েটি ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। তরুণীর মা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কনস্টেবল মুকবলু হোসেনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: আশা করব বিএনপি টানেল থেকে বের হতে পারবে: তথ্যমন্ত্রী
এদিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে পুলিশ পাহারায় ভর্তি থাকা ভিকটিম বলেন, ধর্ষিত হওয়ার পরও দুই দিন ধরে আমি পুলিশ কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছি এবং আমাকে শুক্রবার মেডিকেল টেস্ট করানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমি বলেছি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার আগে কোনো মেডিকেল টেস্ট করাব না। কারণ এখানে আমার জীবনের নিরাপত্তা নাই।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী তরুণী থানায় এসে অভিযোগ করলে আসামীদের আটক করা হয়। এরপর খবর দিল তরুণীর পরিবার থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।