কেরোসিন ঢেলে প্রাথমিক শিক্ষিকার শরীরে আগুন দিলেন স্বামী
রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন তার স্বামী সাদিকুল ইসলাম। এতে ওই শিক্ষিকার মুখ ও বুক পুড়ে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে রামেক হাসপাতালের ৬নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে মহানগরীর রাজপাড়া থানার বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাদিকুল ইসলামের সঙ্গে স্ত্রী ফাতেমা বেগমের দাম্পত্য কলহ চলছিল কিছু দিন ধরে। স্বামী সাদিকুল ইসলাম প্রায়ই স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। দাম্পত্য কলহের জেরে বুধবার রাত সোয়া ১টার দিকে স্বামী সাদিকুল স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: লোকবল সংকটে এনটিআরসিএর কার্যক্রমে ধীরগতি
স্ত্রী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা আসেন। এ সময় সাদিকুল ঘরের দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়। ফাতেমা বেগমকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতের ছোটবোন নূরজাহান খাতুন জানান, বুধবার রাত ১টার দিকে কিছু বোঝার আগেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান সাদিকুল ইসলাম। খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগুনে তার মুখ, বুক ও দুই হাত পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দুই লাখ করে টাকা পেল ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়
নূরজাহান আরও জানান, বিয়ের পর থেকেই গত ২০ বছর ধরে বোনকে নির্যাতন করে আসছিলেন সাদিকুল। পারিবারিক ও সামাজিক চাপের কারণে বিষয়টি এতদিন ধরে ধামাচাপ দেওয়া হচ্ছিলো। দুটি সন্তান থাকায় নির্যাতন সয়েই এতদিন সংসার করে আসছিলেন তার বোন
এই বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, স্বামী সাদিকুল পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।