মাতৃভাষায় বই পেলো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা
তিন বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও নতুন বইয়ের পাশাপাশি নিজেদের মাতৃভাষায় লেখা বইও পেলো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। নতুন বছরের শুরুতে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরার প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হয়। ২০১৭ সাল থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য মাতৃভাষার বই বিতরণ করে আসছে সরকার। সপ্তাহে একদিন মাতৃভাষায় লেখা বই পড়ানো হয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের।
এদিকে, নতুন বই পেয়ে পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের আনন্দ যেন আর ধরছেনই না। নেচে গেয়ে উদযাপন করছেন তারা। নতুন বইয়ের পাশাপাশি নিজেদের মাতৃভাষার বই পেয়ে উচ্ছ্বসিত পাহাড়ের নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। যদিও অনেকেরই আক্ষেপ দক্ষ শিক্ষকের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
আরও পড়ুন- নতুন বই পেতে আরও অপেক্ষা করতে হবে শিক্ষার্থীদের
চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, বম, খুমি, খেয়াং, লুসাই সহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির বসবাস বান্দরবানে। যাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। এদের ভাষা ও বর্ণমালা বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে সরকার ২০১৭ সাল থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রনয়ন করে। ৩ বছর ধরে তা বিতরণ করা হচ্ছে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। বছরের শুরুতেই পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি মাতৃভাষায় বই পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন- বাছাই করা মেধাবীদের মাস্টার্সে ভর্তির প্রস্তাব ইউজিসির
নিজ মাতৃভাষার বর্ণমালা শেখাতে সপ্তাহে একদিন পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি পড়ানো হয় এসব বই। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ভাষা ও বর্ণমালা সংরক্ষণে এ উদ্যোগে বড় বাধা প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব। বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম জানালেন, শিক্ষক সংকটে সব বিদ্যালয়ে বইগুলোর পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না।
এবার বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির শিক্ষার্থীর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে মাতৃভাষায় ছাপানো ৩২ হাজার ৬৪৯টি বই।