‘নিরাপদ হাসপাতাল চাই’ সংগঠনের মানববন্ধন ৭ জানুয়ারি
গণমানুষের সুচিকিৎসা অধিকার নিশ্চিত করতে ‘নিরাপদ হাসপাতাল চাই’ সংগঠনটি কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা সদর, উপজেলা থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে রোগীদের হয়রানি বন্ধ এবং তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা এ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।
আগামী শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামেনে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করবে নিরাপদ হাসপাতাল চাই সংগঠনটি। এই সংগঠনের সমন্ময়ক এফ, এ শাহেদ।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
সুচিকিৎসা সহ নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ পাঁচ দফা দাবি
১. দালাল মুক্ত ও রোগী বান্ধব হাসপাতাল গড়তে হবে।
২. প্রতিটি জেলা সদরে আইসিইউ, সিসিইউ চালুসহ আসন-সয্যা বাড়াতে হবে।
৩. রোগী ও চিকিৎসকদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪.প্রতিটি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: কাল থেকেই এসএসসি’র ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন
সমন্ময়ক এফ, এ শাহেদ বলেন, দালালমুক্ত হাসপাতাল গড়তে হবে; ট্রলি, বেড, হুইল চেয়ার বানিজ্য ঠেকাতে হবে। আয়া, বুয়া, ক্লিনার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে। রোগীকে প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে টেস্ট করতে বাধ্য করানো হয় এসকল ক্লিনিকের এজেন্ট, চিকিৎসক ও স্বত্ত্বাধিকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি জেলা সদরে আইসিইউ, সিসিইউ চালুসহ জেনারেল সয্যা বাড়াতে হবে। স্ট্রোক রোগীদের জন্য জেলা সদরে সকল সেবা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নার্স ও ওয়াডবয়দের সাধারণ অপারেশন ও সেবাতে দক্ষ করে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, রোগী, নারী চিকিৎসক সহ স্বজনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন ভাবে কিছু সংখ্যাক ওয়ার্ড-বয়, দালাল দ্বারা নারীদের যৌন-হয়রানী সহ ভোগান্তি শতভাগ বন্ধ করতে হবে। এবং নারীদের নিরাপত্তায় প্রতিটি হাসপাতালে বিশেষ আইনি সহয়তা সহ জরুরি নাম্বার থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ৪৪ জনকে শোকজ
শাহেদ বলেন, প্রতিটি হাসপাতালে জরুরি টেস্ট; এক্স-রে, আল্ট্রান্সোগ্রাফি, ইসিজি, প্যাথোলজিক্যাল টেস্ট ও সিটিস্ক্যান প্রভৃতি চালু করতে হবে। লোক বল বাড়িয়ে জরুরী সেবার জন্য জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা সপ্তাহের ৭ দিন চালু রাখতে হবে। রোগীদের সেবা প্রদানে জেলা পর্যায়ে হাসপাতাল গুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। টেষ্টের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী তারিখ প্রদান বন্ধ করে, প্রয়োজনে ১৮ ঘন্টা টেস্ট ও ২৪ ঘন্টা জরুরি পরীক্ষা নিরীক্ষা এর ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালে ঔষধ সরবরহের পরিমাণ বাড়াতে হবে।