পাঁচ মেডিকেল কলেজে বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ চলছে
আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসাসেবা ছড়িয়ে দিতে দেশের পাঁচটি শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। এসব হাসপাতালের বার্ন ইনস্টিটিউটে আইসিইউ ও এইচডিইউসহ উন্নত মানের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
শুক্রবার (২৪ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝালকাঠির লঞ্চ দুর্ঘটনায় দগ্ধদের দেখতে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মেডিকেলের মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশের সময় পেছাল
জাহিদ মালেক বলেন, সারাদেশে বিভিন্নভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। তাতে অগ্নিদগ্ধদের সংখ্যা বাড়ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই বিভাগীয় শহরগুলোতে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। দুই সপ্তাহ আগে একনেক সভায় এ সংক্রান্ত প্রকল্প পাস হয়েছে। প্রকল্প অনুযায়ী দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে পাঁচটিতে (চারটি বিভাগ ও একটি জেলা শহর) একশ শয্যার পাঁচটি বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।
রাজধানী ঢাকায় এরই মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট কাজ শুরু করেছে। দেশের বাকি বিভাগীয় শহরগুলোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও পর্যায়ক্রমে বার্ন ইনস্টিটিউট করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ছাত্রী হলের সামনে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, দেখে ফেলায় যুবককে মারধর
তিনি আরও বলেন, বিভাগীয় শহরগুলোতেও বার্ন ইনস্টিটিউটে আইসিইউ ও এইচডিইউ ইউনিট থাকবে। সেখানে আগুনে পোড়াসহ বিভিন্নভাবে দগ্ধ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার সব ব্যবস্থা থাকবে। এসব ইনস্টিটিউট এমনভাবে গড়ে তোলা হবে যেন দগ্ধ রোগীদের ঢাকামুখী হতে না হয়।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৫ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপনের এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৬ কোটি ৯ লাখ টাকা।
এই প্রকল্পের আওতায় সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একশ শয্যা করে বার্ন ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে।