লঞ্চ থেকে লাফিয়ে যেভাবে স্ত্রীসহ প্রাণে বাঁচলেন ইউএনও

ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ
ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ  © ফাইল ফটো

রাজধানী ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গেলেন লঞ্চে থাকা পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আল মুজাহিদ। এই ঘটনায় তার স্ত্রীর পা ভেঙে গেছে। বর্তমানে এই দম্পতি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে এতে আগুন ধরে যায়। লঞ্চ টার্মিনালে শত শত স্বজনদের আহাজারি শুনতে পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন, ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার

লঞ্চের ভিআইপি কেবিনের নীলগিরির যাত্রী ছিলেন মুজাহিদ। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সময় লঞ্চ থেকে লাফিয়ে বাঁচার সময় তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে গেছে।

ইউএনও মোহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, ঢাকা থেকে অফিশিয়াল কাজ শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চে বরগুনার উদ্দেশে যাত্রা করেন। রাত ৩টার দিকে লঞ্চে অন্য যাত্রীদের চিৎকারে তার ঘুম ভাঙে। তখন লঞ্চ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল। এরপর তড়িঘড়ি করে বের হয়ে লঞ্চের সামনে থেকে চলে যান।

আরও পড়ুন: ব্রিটেনে প্রথম নারী কিউসি হলেন বাংলাদেশী সুলতানা

তিনি বলেন, লঞ্চে থাকা বৃদ্ধ এবং শিশুরাই বেশি হতাহত হয়েছেন। এছাড়া লঞ্চে অনেক নারী ছিলেন যারা নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন, কিন্তু তীরে উঠতে পেরেছেন কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লঞ্চটি এ সময় সুগন্ধা নদীর মাঝখানে অবস্থান করছিল। অনেক যাত্রী নদীতে লাফিয়ে বাঁচতে চেষ্টা করেছে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন লঞ্চ থেকে তারাও লাফ দিলে তৃতীয় তলা থেকে দোতলায় পড়ে যান। তখন তার স্ত্রী উম্মুল ওয়ারার ডান পা ভেঙে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: চলন্ত লঞ্চটিতে আগুন লাগল কীভাবে

বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে এই পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯০ জন। আহতদের মধ্যে ৭৫ জনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ১৫ জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ