সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুন, ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান নামে একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন যাত্রী। আহতদের মধ্যে ৭০ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে এতে আগুন ধরে যায়। ভোর ৪টায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার লঞ্চ টার্মিনালে শত শত স্বজনদের আহাজারি শুনতে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার সিঁড়ি ঢাবি শিক্ষক সমিতি
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০০ জন যাত্রী।
তিনি আরও জানান, তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নামপরিচয় জানা যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।
তবে কিভাবে ওই লঞ্চে আগুন লেগেছে, হতাহতের সঠিক কোন তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ধর্ষক আশিকুলের ফেসবুকে সফলতা-ব্যর্থতার বাণী, আছে এমপির সঙ্গে ছবিও
স্বজনদের নিকট থেকে ফোন নম্বর নিয়ে লঞ্চে থাকা একাধিক যাত্রীদের ফোন করা হলেও অনেকেই তা রিসিভ করেননি।
তবে লঞ্চে থাকা এক যাত্রী ফোনে জানান, জীবন বাঁচাতে পারবো কি-না জানি না। পুরো লঞ্চে আগুন জ্বলছে। ছোট বাচ্চা নিয়ে কি করবো জানি না। আমাদের বাঁচাও। এই বলে তিনি কেঁদে ফেলেন ও ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বই উৎসব উদ্বোধন করবেন ৩১ ডিসেম্বর
ভোর সাড়ের চারটায় রাজারহাট-বি নামের আর একটি লঞ্চ বেতাগী লঞ্চঘাটে এসে পৌঁছালে ওই লঞ্চের যাত্রীরা জানান, দূর থেকে দেখেছি লঞ্চটিতে আগুন জ্বলছে। এ ব্যাপারে অভিজান-১০ লঞ্চের ইনচার্জ কামরুল হাসানকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নদীতীরে স্বজনরা ভিড় করছেন। এই ভিড় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে। বাড়ছে নদীর তীরে স্বজনদের আহাজারি। এদের মধ্যে বেশিরভাগই জানেন না তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে।