১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:৪১

বিজিবিকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের দেশপ্রেম, সততা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা— আপনারা দেশপ্রেম, সততা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন।

রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ‘বিজিবি দিবস-২০২১’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যোগ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মনে রাখবেন— শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। তাতে নিজেদেরই ক্ষতি। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন। কর্তৃপক্ষের আদেশ মেনে চলা শৃঙ্খলা বাহিনীর অবশ্য কর্তব্য।

তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস— জাতির পিতার প্রত্যাশিত আধুনিক সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বিজিবি এগিয়ে যাবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে ও দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে সীমান্তের অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে।

পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিজিবি সদস্যের ‘আত্মহত্যা’

প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় তাকে একটি সুসজ্জিত দল অভিবাদন জানায়।

পড়ুন: প্রেমের টানে এলেন ভারতীয় তরুণী, ফেরত পাঠাল বিজি

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিজিবি সদস্যদের বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি পদক বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি সম্মেলনকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

পড়ুন: আনন্দবাজারে মিথ্যাচার, প্রতিবাদ জানাল বিজিবি

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ঐতিহ্যবাহী বিজিবির গর্বিত সদস্য। এ বাহিনীর রয়েছে ২২৬ বছরের গৌরবময় ইতিহাস। ১৭৯৫ সালে রামগড় লোকাল ব্যাটালিয়ন নামে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কালের পরিক্রমায় এ বাহিনী আজ একটি সুসংগঠিত সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রথম প্রহরেই এ বাহিনীর সদস্যরা পাকসেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে পিলখানা থেকে তৎকালীন ইপিআরের বেতারকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেন।