রোববার থেকে শুরু শৈত্যপ্রবাহ
আগামী রবিবার থেকে দেশে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসময়ে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে তাপমাত্রা অনেক কমে যাবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে। বুধবার থেকে দিনের তাপমাত্রা ফের কিছুটা বাড়তে পারে। সাধারণত কোনো এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
আরও পড়ুন- মেধাতালিকায় প্রথম দিকে থেকেও ভর্তির সুযোগ বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা
এদিকে আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে দেশের দক্ষিণ ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি এবং অবশিষ্টাংশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশ উপকূলে আসার সম্ভাবনা কম। এ ছাড়া ডিসেম্বর মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে। তবে এ মাসে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু অর্থাৎ ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অথবা মাঝারি অথাৎ ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এই মাসে দেশের নদী অববাহিকায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা বা মাঝারি ধরনের কুয়াশাও পড়তে পারে।
শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায়। সেখানে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- গবেষণার জন্য বুয়েট শিক্ষকদের বিশাল সুখবর
এ ছাড়া ঢাকায় ১৬ দশমিক ১, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৬, চট্টগ্রামে ১৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৪, রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৪, রংপুরে ১২ দশমিক ৬, খুলনায় ১৩ দশমিক ৪ ও বরিশালে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।