১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:১৭

‘ঠিকানা না থাকলে চাকরি হবে না, এটা হতে পারে না’

হাইকোর্ট ও মীম আক্তার  © সংগৃহীত

পুলিশের কনস্টেবল পদে মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকার পরও ঠিকানা না থাকায় চাকরি হচ্ছে না ভূমিহীন খুলনার মীম আক্তারের। তাকে কেন নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না সে বিষয়ে জানাতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এতে অসন্তোষ দেখিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারাকে নির্দেশ দেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করে আদেশ দেন।

এসময় আদালত বলেন, ঠিকানা না থাকলে চাকরি হবে না, এটা হতে পারে না।

আরও পড়ুন- প্রথম হয়েও পুলিশে চাকরি হলো না মীমের

শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আনিচুর রহমান।

নিজ যোগ্যতায় চাকরি পাওয়ার খবরে ভূমিহীন পরিবারটিতে ছিল আনন্দের বন্যা। হঠাৎ জানতে পারেন, স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় মীমকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে না।

আরও পড়ুন- জমি না থাকায় চাকরি হলো না আসপিয়ার

পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, পুলিশ হেড কোয়ার্টারকে সার্বিক বিষয় জানানো হয়েছে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেখান থেকে ফিরতি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। দু-এক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

মীম আক্তার খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ৩ নম্বর আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডে ডাক্তার বাবর আলীর বাড়ির ভাড়াটে বাসিন্দা। বাবা মো. রবিউল ইসলাম খুলনার বয়রা ক্রস রোডে ছোট্ট একটি দোকান ভাড়া নিয়ে লেপতোশকের ব্যবসা করেন। দোকানটির নাম ‘বেডিং হাউস’। টানা ৩২ বছর ধরে এই এলাকায় ভাড়াটে হিসেবে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন রবিউল ইসলাম। মীম আক্তারের জন্ম খুলনায়। জন্মসনদ খুলনা সিটি করপোরেশনের। বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রও খুলনার।

আরও পড়ুন- লটারিতে নাম তুলেই শ্রদ্ধা জানালেন ছাত্রীরা, ঢাবিতে ক্ষোভ

কনস্টেবল পদে সাধারণ নারী কোটায় আবেদনের পর ২৫ অক্টোবর খুলনা শিরোমণি পুলিশ লাইনসে শারীরিক যোগ্যতা যাচাই হয়। ২৫, ২৬ ও ২৭ অক্টোবর তিন দিন ধরে যাচাইয়ে উত্তীর্ণ হন মীম। ২৮ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হওয়ার পর মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হন তিনি। ফলাফলে সাধারণ নারী কোটায় প্রথম হন মীম।