বাসা ছেড়ে দেওয়ায় বাড়তি ভাড়া চেয়ে ছাত্রীকে জিম্মি বাড়িওয়ালার

বাড়িওয়ালা কামরুল হাসান ঠান্ডু
বাড়িওয়ালা কামরুল হাসান ঠান্ডু  © সংগৃহীত

বাসা ছাড়ায় ১০ মাসের বাড়তি ভাড়া দাবি করে এক কলেজছাত্রীকে জিম্মি করেছেন কামরুল হাসান নামে এক বাড়িওয়ালা। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন ওই ছাত্রী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। 

সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল পৌরসভার বেতকার মুন্সিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার বাড়িওয়ালা কামরুল হাসান ঠান্ডু ১০ মাসের ভাড়া দাবি করে ওই ছাত্রীকে বাসায় জিম্মি করে রাখেন। জিম্মি হওয়া ছাত্রী সরকারি কুমুদিনী কলেজে পড়াশোনা করেন।

আরও পড়ুন: হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে প্রার্থী ২৮৯ জন

স্থানীয়রা জানায়, পৌরসভার বেতকা মুন্সিপাড়ার কামরুল হাসান ঠান্ডুর বাসায় চার মাস আগে বাসা ভাড়া নেন ওই শিক্ষার্থী। চলতি মাসের ভাড়া পরিশোধ করে বাসা ছেড়ে দেওয়ার কথা বাড়িওয়ালাকে জানান ছাত্রী। কিন্তু এক মাসের ভাড়া অতিরিক্ত দিলেও বাড়িওয়ালা আগামী ১০ মাসের ভাড়া চেয়ে ছাত্রীকে জিম্মি করে রাখেন। ওই ছাত্রী বাসা ছেড়ে দিতে চাইলে তাকে হুমকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন ছাত্রী। এরপর টাঙ্গাইল সদর থানার এএসআই আয়নুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। 

আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

এর আগে বাড়িওয়ালার আত্মীয় জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে পুুলিশের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়। এ ছাড়া সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও করতে বাধা দেওয়া হয়।

ওই কলেজছাত্রী বলেন, চলতি মাসের ভাড়া পরিশোধ করে বাসা ছাড়তে চাইলে বাড়িওয়ালা আরও ১০ মাসের ভাড়া দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে জিম্মি করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে না যাওয়ায় ঢাবি ছাত্রকে বেধড়ক পেটালো জয়ের অনুসারী

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়িওয়ালা কামরুল হাসান ঠান্ডু বলেন, বাসা ছেড়ে দিলে আগামী ১০ মাসের ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। না হলে নতুন ভাড়াটিয়া খুঁজতে দেরি হবে। আইন-টাইন বুঝি না, আমাকে বাড়তি টাকা দিয়ে ওই ছাত্রীকে বাসা ছাড়তে হবে।

টাঙ্গাইল সদর থানার এএসআই আয়নুল ইসলাম বলেন, জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তবে বাসার মালিক উগ্র আচরণ করেছেন। ওই ছাত্রীকে জিম্মি করে বাড়তি টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছেন। পরে আমরা ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি।


সর্বশেষ সংবাদ