বাসচাপায় নিহত ছাত্র ফেসবুকে যা লিখেছিলেন
রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল বাসের চাপায় সোমবার রাতে মাইনুদ্দিন ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পরই চলতি বছরের ২৯ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাইনুদ্দিনের দেওয়া একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছে।
ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, ‘ঠিক ততটা আঁধারে হারিয়ে যাব, যতটা আঁধারে হারালে কেউ সন্ধান পাবে না।’
সোমবার রাতে মাইনুদ্দিন ইসলামের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরপরই অনেকে সেই স্ট্যাটাসে কমেন্টস করা শুরু করেন। মুহূর্তেই তার স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়ে যায়।
মাইনুদ্দিনের বন্ধু তালিকায় থাকা জান্নাতুল মিষ্টি নামে একজন লিখেন, সত্যি হারিয়ে গেল সমাজের কালো অন্ধকারে। মায়ের কোল থেকে চিরকালের দূরত্বে, বাবার সংস্পর্শের বাইরে। ভাই-বোনের থেকে অনেক দূরে বন্ধুদের মাঝে থেকেও হারিয়ে গেলে। এ দায়ভার কার? কবে বুঝব আমরা।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর রাতেই ছিল দুর্জয়ের জন্মদিন
মেহেদী হাসান নির্জন লিখেন, আমাদের ক্ষমা করে দিও মাঈনুদ্দিন। এ দেশের রাস্তায় আমরা কেউই নিরাপদ না।
আবদুল আজিজ পাটোয়ারী লিখেন, এই কথাটা আজ সত্যি হলো।
রাতে এ ঘটনার পর ৯টি বাসে আগুন দেয় স্থানীয়রা। ভাঙচুর করে আরো ৩টি বাস। সড়ক অবরোধ করে দুর্জয় হত্যার বিচার দাবি করে তারা। প্রথমে মঈনুদ্দিনের দুলাভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে মঈনুদ্দিনের ছিন্নভিন্ন শরীর রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর পরিবারের অন্যান্য লোকজন সেখানে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বাস থেকে নামিয়ে দেয় রাইদা, চাপা দেয় অনাবিল
দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাঈনুদ্দিন সবার ছোট। বড় ভাই মনির ছোট একটি চাকরি করেন। মূলত সংসার চলে বাবার চায়ের দোকানের আয় থেকেই। নিহত শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন পূর্ব রামপুরার বাসিন্দা। তিনি রামপুরা একরামুন্নেসা বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।