আমরাও হতাশ, তবে আশাহত না: ফাইয়াজের স্ট্যাটাস
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন পেছানো হয়েছে। আদালতের এমন নির্দেশনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।
রবিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে ফেসুবকে ফাইয়াজ লিখেছেন, ঠিক যখন রায় শোনার জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তখন রায় না হওয়াটা দেশবাসীর প্রত্যেকের জন্যই হতাশাজনক। আমরাও হতাশ। তবে আশাহত না। যেহেতু আমাদের মামলার আসামী সংখ্যা বেশি (২৫ জন) এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে মাত্র ১৪ দিন আগে। তাই তাড়াতাড়ি রায় দিতে গিয়ে কোনো গাফিলতি থাকুক সেটা মনে হয় না আমরা কেউই চায়।
তিনি আরও লিখেন, আমাদের মূল লক্ষ্য উচ্চ আদালত থেকেও যেন কোনো আসামী মুক্তি না পায় সেটা নিশ্চিত করা এটা মনে রাখতে হবে। এখন একটাই আশা ৮ তারিখ যেন অবশ্যই রায় দেওয়া হয় এবং সকল আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। সকলের কাছে অনুরোধ আশাহত না হয়ে আমাদের পাশে থাকবেন তাহলেই ঐ অমানুষগুলোর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে।
পড়ুন: রায় যেন দ্রুত হয়, আবরারের বাবার দাবি
এদিন দুপুর ১২টার পর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে আসামিদের হাজির করার পর আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন পেছানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে পলাতক তিন আসামিসহ ২৫ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।
এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ পড়ে শোনান। এসময় বিচারক তাদের প্রশ্ন করেন, আপনারা দোষী না নির্দোষ? উত্তরে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন। এরপর আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন।