একই হোস্টেলে থাকেন ছাত্রী ও শিক্ষকরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২১, ০৯:৪৭ AM , আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২১, ১০:০৪ AM
মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্রী হোস্টেলে ছাত্রী-শিক্ষক ও কর্মচারীর একই হোস্টেলে থাকেন। ছাত্রীদের হোস্টেলে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন ১১ জন প্রশিক্ষক। এর মধ্যে চারজনের আছে পরিবার। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হোস্টেলে অবস্থানরত নারী প্রশিক্ষণার্থীরা।
তাছাড়া অভিযোগ রয়েছে হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষক ও স্টাফরা বিদ্যুৎ, পানি ব্যবহার করছেন ইচ্ছেমতো। সরকারি কোষাগারে কোনো বিল কিংবা বাসা ভাড়া দেন না এসকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর। ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
সূত্র জানা যায়, মহিলা শ্রমিকদের সৌদি আরব যেতে এক মাসের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সারা দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) এ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে টিটিসির হোস্টেলে (আবাসিক) থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। ছাত্রী হোস্টেলে প্রশিক্ষণার্থী ছাড়া প্রশিক্ষক, পিয়ন কিংবা অফিস স্টাফ থাকার নিয়ম নেই। অথচ মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হোস্টেলে সরকারি নিয়ম না মেনে পরিবারসহ বসবাস করছেন প্রশিক্ষকরা।
অনুসন্ধা থেকে জানা যায়, ছাত্রী হোস্টেলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন গার্মেন্টস প্রশিক্ষক আসাদুল ইসলাম, মেকানিক্যাল প্রশিক্ষক আবদুর রহমান, ইলেক্ট্রনিক্স প্রশিক্ষক রমজান আলী ও জাপানি ভাষার প্রশিক্ষক নাছিমা আক্তার। এ ছাড়া হোস্টেলে থাকছেন কম্পিউটার প্রশিক্ষক এমদাদুল হক, ইলেকট্রিক্যাল প্রশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম, ড্রাইভিং প্রশিক্ষক ইউসুফ, আবদুর রাজ্জাক, সাইদুল ইসলাম ও সিভিল প্রশিক্ষক রমজান আলী।
শুধু তাই নয়, কয়েকজন অফিস সহকারী, ল্যাব সহকারী, পিয়ন ও নিরাপত্তা কর্মী বসবাস করে আসছেন ছাত্রী হোস্টেলে। তারা কেউই বাসা ভাড়া পরিশোধ করেন না।
সরেজমিন দেখা যায়, চারতলাবিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেলের চতুর্থ তলায় প্রশিক্ষণার্থীরা থাকেন। বাকি তিন তলায় বসবাস করছেন শিক্ষক, অফিস সহকারী, ল্যাব সহকারী, পিয়ন ও নিরাপত্তা কর্মীরা। এ সময় বাচ্চাদের কথাও কানে ভেসে আসে। তাদের কারণে প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের নানা অসুবিধা হয়। কিন্তু মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না কেউ।
এ বিষয় জানতে চাইলে মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শেখ নাহিদ নিয়াজ বলেন, কেন্দ্রটি শুরু করার সময় শিক্ষার্থী কম ছিল। আর করোনার কারণে তখন আমার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কয়েকজন শিক্ষককে এখানে থাকতে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, যেসকল শিক্ষক-কর্মকর্ত ও কর্মচারী হোস্টেলে বসবাস করছে তারা আগামী জানুয়ারিতে হোস্টেল থেকে নেমে যাবে। করোনার কথা ভেবে নিরাপত্তার জন্য আমরা এই ব্যবস্থা করেছিলাম।