ডাকসুর জিএস থেকে ৩০ বছর বয়সে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন বাবলু
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আজ ইন্তেকাল করেছেন। আজ শনিবার (২ অক্টোবর) ৬৬ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ছাত্রনেতা থেকে মাত্র ৩০ বছর বয়সে এরশাদ সরকারের মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন তিনি।
তার ছিল বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। ১৯৭৪-৭৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮২-৮৩ সালে ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হন।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ইংরেজিতে বিএ এবং এমএ সম্পন্ন করা বাবলু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুনঃ জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু আর নেই
১৯৮৫-৮৬ সালে এরশাদ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হন। এরপর ১৯৮৬-৮৭ সালে তিনি বন্দর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের (তৎকালীন) উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। ওই বছরই তিনি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পরে আবার তার দফতর পরিবর্তন করে দেওয়া হয় এরশাদ সরকারের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
২০১৪ সালে (চট্টগ্রাম-৯) আসন থেকে দশম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন বাবলু। ওই বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০২০ সালের জুলাই মাসে মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে নিয়ে দলে অস্থিরতা দেখা দিলে তাকে হটিয়ে বাবলুকে আবার মহাসচিবের দায়িত্বে নিয়ে আসেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এরশাদের নির্দেশে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
রাজনীতির পাশাপাশি বেসরকারি ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়াও ফার্স্ট কমিউনিকেশন লিমিটেড ও হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্টারন্যাশনাল নামে দুটি প্রতিষ্ঠানেরও চেয়ারম্যান ছিলেন এই রাজনীতিবিদ।