হাসপাতালগুলোতে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগের দাবি

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা  © সংগৃহীত

হাসপাতালগুলোতে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগের দাবি জানিয়েছে ফার্মাসি গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘স্বাস্থ্যখাতে ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সভা থেকে এমন দাবি জানান বক্তারা।

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সভায় বক্তারা ফার্মাসিস্টদের গুরুত্ব, অবদান ও বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ফার্মাসিস্টদের যে কদর রয়েছে, যে সম্মান তারা পান, বাংলাদেশে ফার্মাসিস্টদের সেই অবস্থান দেওয়া যায়নি। স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন ও বর্তমান বাস্তব প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী এ দাবি পূরণ করতে পারেন।

ফার্মাসিস্টদের দাবি পূরণ করা আজ সময়ের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হলে অবশ্যই টেবিলে বসতে হবে। এই বিষয়ে বসে সমাধান করা উচিৎ।

ফার্মাসি গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের (ফিজিএ) সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আমাদের কোর্স কারিকুলামের উন্নতি করতে হবে। আমরা পুরনো দিনের সিলেবাস নিয়েই পড়ে আছি। আমাদের ক্লিনিকাল ফার্মাসিস্ট হতে হলে এই সেবা দেওয়ার মতো জ্ঞান আহরণ করতে হবে।

আমরা যদি ফার্মাসিস্টদের ঠেকিয়ে রাখি, তাহলে দেশকে হুমকির মুখে ফেলবো। স্বাস্থ্যখাত হুমকির মুখে পড়বে। সরকারের উচিৎ ফার্মাসিস্টদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করা, বলেন ইশতিয়াক আহমেদ।

ফার্মেসি পেশায় তিন ধরনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনবল রয়েছে। প্রথমত, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বা পাঁচ বছর মেয়াদি ফার্মাসি সম্মান বিষয়ে পাসকৃত গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা। দ্বিতীয়ত, এসএসসি পাস করে তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ফার্মাসি পড়াশোনা শেষে মূলত হাসপাতালগুলোতে ওষুধ বিতরণে কাজ করছেন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টরা। তবে উন্নত বিশ্বে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদের ফার্মেসি টেকনিশিয়ান হিসেবে অভিহিত করা হয়। তৃতীয়ত, এসএসসি পাস করে তিন মাসের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ শেষে ওষুধের দোকানে প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ বিতরণের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ফার্মেসি শিক্ষানবিশেরা।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে উন্নত বিশ্বে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা মূলত হাসপাতালে বা কমিউনিটি ফার্মেসির দোকানে ওষুধের নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করেন। সেখানকার হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসকের পাশাপাশি গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট থাকা আবশ্যক। রোগীর দেহে যেকোনো ওষুধ প্রয়োগের একমাত্র অধিকার রাখেন ফার্মাসিস্ট।

চিকিৎসক প্রদত্ত প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণে রোগীকে সহায়তার মূল কাজটি একজন ফার্মাসিস্ট করে থাকেন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, রোগী প্রেসক্রিপশন পাওয়ার পর থেকে ফার্মাসিস্টদের কাছে ওষুধবিষয়ক সমস্যার সঠিক নির্দেশনা পেতে পারেন।

বাংলাদেশ ফার্মাসি ফোরামের সভাপতি হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ, ফার্মাসি গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য ফার্মাসিস্টরা।


সর্বশেষ সংবাদ