শাহবাগে গণগ্রন্থাগার বন্ধ, বিপাকে বিসিএস পরীক্ষার্থীরা
শাহবাগে অবস্থিত সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারে পড়তে না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন একদল শিক্ষার্থী। করোনার কারণে ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া লাইব্রেরি এখনো খুলে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের।
এজন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে দিনের বেলায় লাইব্রেরি বানিয়ে বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। আর রাতের বেলায় মশার আক্রমণ থেকে বাঁচতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের বারান্দাকে লাইব্রেরির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করছেন তারা।
আরও পড়ুন:বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৫ শতাংশ আয়কর নয়
মো: রাকিবুল ইসলাম নামের এক বিসিএস পরীক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘করোনাকালীন লকডাউন সময় থেকে পাবলিক লাইব্রেরি বন্ধ। লকডাউন কেটে গেলেও খুলে দেওয়া হয়নি। লাইব্রেরি ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন করার অজুহাত দেখিয়ে আমাদের পড়তে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পাবলিক লাইব্রেরি সংস্কারের ম্যাপ দেখেছি। সেখানে লাইব্রেরি ভবন আরও একটি ভবন পুন:নির্মাণের কথা রয়েছে। তারা ইচ্ছা করলে আগে একটি ভবন নির্মাণ করে সেখানে আমাদের সুযোগ দিয়ে অন্য ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেন।’
আরেক পরীক্ষার্থী বিপুল রানা বিপ্লব জানান, ‘আমরা করোনাকালীন সময় থেকেই এখানে পড়ছি। লাইব্রেরী বন্ধ থাকার কারণে আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। তাদের এ গড়িমসি সিদ্ধান্তের কারণে আমরা প্রায় ৮ শত শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হোক।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বরণে প্রস্তুত ঢাবির আবাসিক হলগুলো
আল-আমিন জানান, ‘৩ বছর ধরে আমি এখানে পড়াশোনা করে বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্কুল-কলেজ খোলা হলেও আমাদের লাইব্রেরী অজুহাত দেখিয়ে এবং বিকল্প কোন সমাধানও দেওয়া হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে তারা একেক সময় একেক কথা বলে তালবাহানা করছে। ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এখন পড়াশোনার জায়গা না পেয়ে গাছতলা, মসজিদের বারান্দাকে বিকল্প হিসেবে নিয়েছি। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হউক।’
তবে শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে সুফিয়া কামাল গণগ্রন্থাগারের মহাপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা তাদের পড়াশোনার বিকল্প জায়গা খুঁজছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশেই তাদের রিপ্লেস করার চেষ্টা চলছে।’