করোনাকালে আত্মঘাতী ২১০ ছাত্রছাত্রী
করোনা মহামারিতে গত ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মানসিক সমস্যা। এতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ায় গত ২১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
আত্মহত্যার কারণ হিসেবে পড়াশোনার চাপ, ক্যারিয়ার নিয়ে হতাশা, প্রেমে ব্যর্থ, পারিবারিক সমস্যা, সেশনজট, অনশ্চিত ভবিষ্যত, মোবাইলের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি, অবসাদ ও বিষন্নতাকেই প্রধানত চিহ্নিত করা হয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় এমন তথ্য ওঠে এসেছে।
আজ (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘কাজের মাধ্যমে প্রত্যাশা বৃদ্ধি’। দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জীবনের উপর মানসিক চাপ কাজ করছে। দুঃশ্চিন্তা, হতাশা, বিষন্নতা ও মানসিক বিপর্যয়সহ নানান ছোটখাটো সমস্যায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। ফলে তারা আত্নহননের সিদ্ধান্তে ধাবিত হতে বাধ্য হয়েছেন। তবে পরিবারের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন, সচেতনতা সৃষ্টিসহ তরুণদের অনুকূলে পরিবেশ গড়তে পারলে আত্নহত্যা প্রবণতা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চলতি মাসের গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) প্রায় ১৮ মাসে মোট ২১০ জন শিক্ষার্থী আত্মঘাতী হয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল রাতে এ আত্মহননের মিছিলে যোগ দেন মরিয়ম ওরফে ছোয়া (১১) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রী।
আরও পড়ুন: দশ বছরে ১১ জাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
পরিসংখ্যান বিবেচনায়, মোট আত্মহননকারীর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রয়েছে ৫৩ জন; কলেজ পড়ুয়া (উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত) শিক্ষার্থী ৪০ জন; মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩ জন। তবে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলে এ সংখ্যা একশরও বেশি; ১০৪ জন। অন্যদিকে আত্মহত্যাকারীদের বেশির ভাগেরই বয়স ১২ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে আজ (১০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যানটি তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, গতকাল জাবি শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ কেন্দ্রের ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও করণীয়’ শীর্ষক কাউন্সেলিং অনুষ্ঠানে ‘মহামারীতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য’ শিরোনামে একটি জরিপ উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়
জরিপের জাতীয় অংশে উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ হতে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সারাদেশে ১৫১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। যেখানে ২০১৮ সালে এ সংখ্যাটি ১১ জনে সীমাবদ্ধ ছিলো। এছাড়া ২০১৭ সালে ১৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।
জরিপে বলা হয়, মহামারিতে আত্মহননকারী ১৫১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪২ জন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, ২৭ জন কলেজ শিক্ষার্থী, ৭৩ জন স্কুল শিক্ষার্থী ও ৯ জন মাদ্রাসার ছাত্র।
সবচেয়ে বেশি স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
পরিসংখ্যান বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি আত্নহত্যা করেছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। ২০২০ সালের মে মাস থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী আত্নহত্যা করেছে ১০৪ জন। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসা থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া তাসমীম কান্তা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সে আত্মহত্যা করেছে।
আত্মহত্যার মিছিলে কলেজ পড়ুয়া ৪০ শিক্ষার্থী
মাদারীপুরের কালকিনি থেকে রুপা আক্তার নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে গতকাল রাতে আত্মহত্যা করেছে ওই শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে মৃতদেহ পাঠানো হয়। তিনি কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
এ নিয়ে গত ১৮ মাসে ৪০ জন কলেজ পড়ুয়া ৪০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এরমধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের ছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে স্নাতক, ডিগ্রি ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রয়েছেন।
সবচেয়ে কম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী
গত ১৮ মাসে ১৩ জন মাদ্রামা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। সর্বমেষ গতকাল রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে মরিয়ম ওরফে ছোয়া (১১) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের বেড়াদি গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকায় অবস্থিত ওই ছাত্রীর বোনের বাড়ি থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আত্মঘাতী হয়েছেন উচ্চশিক্ষার ৫৩ শিক্ষার্থী
গত বছরের মার্চ থেকে দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে মেডিকেল-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ৫৩ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জনই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সবশেষ গত ২৩ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার ৬নং সেক্টরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মেসবাহের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। নিহত মেসবাহ জগন্নাথ বিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।মেসবাহের সহপাঠীরা জানান, বেশকিছুদিন ধরেই সে বিষন্নতায় ভুগছিলো।
গবেষণা কি বলছে?
বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে জাবিতে ‘মহামারীতে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক জরিপের তথ্য বলছে, মহামারিতে গত ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মানসিক সমস্যা। এতে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ায় গত ১৫ মাসে দেশে ১৫১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে পড়াশোনার চাপ, বেকার সমস্যা, বৈবাহিক সমস্যা, প্রেমে ব্যর্থ, মানসিক নির্যাতন, পারিবারিক সমস্যা, অবসাদ ও বিষন্নতাকেই প্রধানত চিহ্নিত করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্র এর সহকারী পরিচালক (মনোবিজ্ঞানী) ইফরাত জাহান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রতি বছর ৭ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে। এর মধ্যে ৭৭% ঘটনা মধ্যম আয়ের দেশে সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ এর মধ্যে অন্যতম। আবার দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা অনেক বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। মহামারিতে এ প্রবণতা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মহত্যা নিয়ে এখনই সচেতনতার উপযুক্ত সময়।’
সম্প্রতি তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান আঁচল ফাউন্ডেশনের ‘করোনাকালে তরুণদের আত্মহত্যা প্রবণতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক জরিপ বলছে, করোনাকালে মানসিক বিভিন্ন চাপের ফলে আত্নহত্যা করার কথা ভেবেছে ২১ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ সময়ে মানসিক চাপ পড়েছে ৬৩.৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর।
জরিপের তথ্য মতে, করোনাকালে তরুণদের মধ্যে অধিকাংশই মানসিক বিষণ্ণতায় ভোগেন। যেমন, অধিকাংশ সময় মন খারাপ থাকা, পছন্দের কাজ থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। অস্বাভাবিক কম বা বেশি ঘুম হওয়া, কাজে মনোযোগ হারিয়ে ফেলা, নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা, সবকিছুতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা। এ সমস্যাগুলো তীব্র আকার ধারণ করলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তানসেন রোজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, করোনাকালে যে হারে মানসিক সমস্যা বাড়ছে সে হারে সচেতনতা বাড়ছে না। যে কারো আত্মহত্যা করার পেছনে আমাদের পরিবার, সমাজ ও দেশেরও দায় রয়েছে।যারা মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত শুধুমাত্র তাদেরকে কউন্সেলিং দেয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলে সমস্যার পুরোপুরি সমাধান হবে না। বরং একজন তরুণ বা তরুণী কেনো আত্মহত্যাপ্রবণ বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে তার কারণ বের করে সমাধান করে সমস্যার মূলোৎপাটন করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্যহানী ঘটলে যেমন শারীরিক চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হয়, তেমনি একজন মানুষ মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়লে তাকে মনঃকাউন্সেলিং করতে হয়। এটা হয়না বলেই একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। এক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কাজ করা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আত্মহত্যার বহু কারণ রয়েছে। যেমন সামাজিক দূরত্ব, জীবনমানের ছন্দপতন, অর্থনৈতিক পরিবর্তন, ঋণগ্রস্ত হওয়া ; এসব কারণেই আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজন প্যারেটিং, শিশুকাল হতেই শিশুকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে। সন্তান চাওয়া মাত্রই তার দাবি পূরণ করতে দেওয়া যাবে না। তাকে পরিবার থেকে বুঝাতে হবে উপার্জন করা অনেক কঠিন, মানুষের সব চাহিদা একসঙ্গে পূরণ হয় না; তাহলে শিশুরা ধৈর্যশীল হিসেবে গড়ে উঠবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আত্মহত্যা মূলত একটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত; যে আত্মহত্যা করবে সেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে৷ কেউ হয়তো আগে থেকেই অনেক ধরনের মানসিক যন্ত্রণায় ভুগে থাকতে পারে। যখন এই যন্ত্রণাগুলো পরিমাণে বেশি হয় কিংবা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে যায় যেটাকে আমরা বলি 'তীব্র মনোবেদনা'।
“এটি যখন সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে যায় অর্থাৎ ব্যক্তি মনে করতে পারে আমার বেঁচে থেকে লাভ নেই, নিজেকে মূল্যহীন মনে করে। এভাবে অনেকগুলো মানসিক সমস্যা যখন একত্রিত হয় মনোজগৎকে নাড়া দেয় কিংবা আন্দোলিত করে তখন ব্যক্তি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা নেয়। করোনাকালে শিক্ষার্থীরা মানসিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন ফলে আত্মহত্যাও বেড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকগুলো ক্ষেত্র কাজ করে। ব্যক্তি বিশেষে ক্ষেত্রগুলো ভিন্ন হয়ে থাকে। একজন ব্যক্তির যখন নৈতিক মূল্যবোধ একেবারে ফুরিয়ে যায় তখনই সে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। আত্নহত্যা মহাপাপ জেনে ও ব্যক্তি তখন আত্মহত্যা করে।
“এক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিশু তার পরিবার থেকে কি ধরনের মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠছে সেই মূল্যবোধগুলো আঁকড়ে ধরে কিন্তু শিশুকে ভবিষ্যতে পরিচালিত করবে৷ বাবা-মা কর্তৃক গৃহীত আদর্শ শিশুর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিবেদক আরিফুল ইসলাম তামিম ও নিউজরুম এডিটর জামাল হোসেন]