গায়ে লাগছে না স্কুল ড্রেস

করোনার ছুটিতে শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধি ও বাসা-বাড়িতে বসে থেকে স্বাস্থ্য বেড়ে যাওয়ায় পুরাতন ড্রেস নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা
করোনার ছুটিতে শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধি ও বাসা-বাড়িতে বসে থেকে স্বাস্থ্য বেড়ে যাওয়ায় পুরাতন ড্রেস নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা  © সংগহীত

করোনার কারণে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পুরনো ড্রেস আর গায়ে লাগছেনা শিক্ষার্থীদের। নতুন করে স্কুল-কলেজ খোলার খবরে তাই অনেকেই ভিড় করেছেন টেইলার্সের দোকানে। ক্লাসের প্রস্তুতি হিসেবে বইয়ের পাশাপাশি অনেকেই স্টেশনারি দোকান থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনছেন।

দীর্ঘ এই সময়ে ছুটিতে শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধি ও বাসা-বাড়িতে বসে থেকে স্বাস্থ্য বেড়ে যাওয়ায় পুরাতন ড্রেস নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। এজন্য এসব শিক্ষার্থী নতুন ড্রেস, খাতা-কলমসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।

আগামী ১২ সেপ্টম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। স্কুল-কলেজগুলোকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন করারসহ মোট ১৯ দফা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ গাইডলাইন অনুসরণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।

স্কুল-কলেজ খোলার খবরে রাজধানীর একটি মার্কেটে নিজের স্কুলড্রেস কিনতে এসেছে ধানমন্ডি ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থী রাসেল। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় কেনা হয়নি নতুন ড্রেস। এখন পুরনোটা পরতে অসুবিধা হচ্ছে। এমন অবস্থা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদেরই। সময় কম থাকায় তারা ছুটছেন রেডিমেড ড্রেসের দোকানে। প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত অভিভাবকরাও।

পড়ুন: খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্কুল ড্রেস নিয়ে দুশ্চিন্তায় অনেকেই

মিলন মাহমুদ নামের এক অভিভাবক বলেন, করোনা শুরুর আগে ২০২০ সালে দিশারী কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল তার ছেলে ঈশান মাহমুদ। এখন সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। সরিষাবাড়ী পৌরসভার কামরাবাদ এলাকায় তার বাসা।

তিনি বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় দুই বছরে ছেলে অনেক লম্বা হয়ে গেছে, স্বাস্থ্যও একটু ভালো হয়েছে। এখন আর আগের স্কুলড্রেস শরীরে হয় না। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল খোলার ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের ইউনিফর্ম বের করে দেখে, শার্ট আঁটোসাঁটো হয়ে গেছে। প্যান্ট কোমর পর্যন্ত আসছে না, জুতা জোড়াও পায়ে ঢুকছে না।

বিক্রেতারা জানান, মাঝে বেশ খারাপ সময় গেছে। তবে, এখন ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। সরিষাবাড়ী পৌরসভার ন্যাশনাল টেইলার্সের শামীম তরফদার বলেন, আমিই এ বাজারে ছেলেমেয়েদের ইউনিফর্ম সবচেয়ে বেশি বানাই। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণার পর থেকে ইউনিফর্ম বানানোর অর্ডার আসছে। এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।


সর্বশেষ সংবাদ