জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ক্যাপ্টেন নওশাদ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২১, ১২:৪২ AM , আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২১, ১২:৪৯ AM
মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম এখন ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের সার্জিকেল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) কোমায় আছেন। হার্ট অ্যাটাকের পর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। বর্তমানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে বলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদ কোমায় আছেন। তার অবস্থা গুরুতর।
তিনি বলেন, প্রথমে ক্যাপ্টেন নওশাদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। ক্যাপ্টেন নওশাদের হার্টের এনজিওগ্রাম করা হলে দুইটি রক্তনালীতে ব্লক পাওয়া যায়। তবে মাত্র ৬০-৭০ ভাগ। এটা প্রায় স্বাভাবিক। এরপর তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি আনরেসপনসিভ এবং আনকনশাস (কোন সাড়া দিচ্ছেন না, সম্পূর্ণ অচেতন) অবস্থায় আছেন।
তিনি আরও বলেন, দুপুরে তাকে প্রায় আধঘণ্টা সিপিআর (বুকে চাপ দেওয়াসহ নানা কৌশলে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা) দেওয়া হয়েছে। তবে চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রটোকল অনুযায়ী এ ধরনের রোগীকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তাকে এসআইসিইউতে পাঠিয়ে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।’
ক্যাপ্টেন নওশাদের স্ত্রী বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। সেখান থেকে তিনি নাগপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. রঞ্জন বারোকার, এবং ডা. বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউম।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। পরে ফ্লাইটটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন নওশাদ ফ্লাইটটিকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।