ক্ষতিগ্রস্ত পুস্তক ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২১, ০৯:৩৮ AM , আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২১, ০৯:৩৮ AM
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পুস্তক ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। এ দাবিতে বুধবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সারাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বরিশাল বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি বরিশাল জেলা কমিটি দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাশের হাতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে এ স্মারকলিপি প্রদান করে।
এ সময় পুস্তক প্রকাশনা ব্যবসায়ীরা তাদের তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন। এগুলো হলো- দেশের পুস্তক ব্যবসা খাতের জন্য কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকার সহজ শর্ত ও স্বল্পসুধে ঋণের বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা।
এই ঋণ যাতে যেকোনো তফসিলি ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, পিকেএসএফ প্রভৃতির মাধ্যমে সমিতির পরামর্শ ও সহযোগিতায় বণ্টন করা যেতে পারে এবং দেশে প্রায় ২৬ হাজার পুস্তক ব্যবসায়ী পরিবারের জন্য এককালীন ১০০ কোটি বরাদ্দ প্রদান করা যা ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটির মাধ্যমে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন স্কুল-কলেজের লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করতে অ্যাকাডেমিক ও সৃজনশীল ক্রয়ের জন্য ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা সহসভাপতি বাবল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক আসরাফ খান রিপন, অতিরিক্ত সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক, বিশ্বজিৎ দাশ রিমন, গোলাম মোস্তফা বাবুল প্রমুখ।
একই দাবিতে গোপালগঞ্জ, মাগুরা নওগাঁয় স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করে। অন্যদিকে মাগুরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফাজ উদ্দিনের কাছে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
সমিতির নেতারা বলেন, গত দেড় বছর বাংলাদেশের একাডেমিক এবং সৃজনশীল প্রকাশনা ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠান প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার বিক্রয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান দোকান ভাড়া, কর্মচারী বেতন দিতে পারেনি। দেশের প্রায় ২৬ হাজার বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারী নিঃস্ব ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আজ তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে।