‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নেওয়া হচ্ছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২১, ০৭:৩৩ PM , আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:৩৩ PM
দেশে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘কেউ কিন্তু বললেন না টিকা উৎপাদনে খরচ কত হবে, দাম কত হবে। সব কিছু লুকিয়ে রাখা এই সরকারের একটা অভ্যাস। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সব কিছু খোলা। সরকার মনে করে স্কুল-কলেজ খুলে দিলে আন্দোলন হবে। তাদের অন্যায় বিরুদ্ধে ছাত্ররা আওয়াজ তুলবে। তারা ভ্যাটবিরোধী করেছে, নিরাপদ সড়ক করেছে। আর দেরি না করে কোনো ধানাই পানাই না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেন।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ট্রাস্টি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। আজকে যদি তাদের স্বীকৃতি না দেই তারা ভারতের হিন্দুত্ববাদের দিকে যাবে। উদারতাপন্থি ইসলামী রাষ্ট্র না হয়ে তারা কঠোর ধর্মান্ধ রাষ্ট্র হবে। সেজন্য আমরা যদি তাদের স্বীকৃতি দেই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করি তাদের আমরা প্রভাবিত করতে পারব। একটা উদার ইসলামিক রাষ্ট্র হবে।’
আরও পড়ুন: ফেল করা শিক্ষার্থীদের ‘আত্মহত্যা’ থেকে রক্ষা করুন
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ লেবার পার্টির এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সরকার না থাকলে যা হয় তাই হচ্ছে। গুম বাড়ছে। আমেরিকা অনুরোধ করেছিল আফগানদের সাময়িকভাবে যায়গা দিতে, গোয়ার্তুমি করে সরকার সেটা না করেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এটা একটা ভুল কাজ করলেন। এই ভুলটা করে, জীবনের বড় স্বপ্ন একটা নোবেল প্রাইজ পাওয়া তার থেকে দূরে চলে গেলেন। এই অনুরোধ রাখা উচিত ছিল।’
আরও পড়ুন: পরীক্ষার ফলে অনিয়ম করায় ঢাবির দুই শিক্ষককে অব্যাহতি
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘একই ভুল আজকে করলেন বিএনপির কর্মীদের উপর আঘাত করে। আপনারা খুব খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি করছেন। এমন পরিস্থিতি আপনাদের সঙ্গেও হতে পারে একদিন। এইসব বন্ধ করেন।’
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান বক্তা ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এ ছাড়া ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, এনডিএমের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুজ্জামান হীরা, গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরদ্ম রামকৃষ্ণ সাহা, যুগ্ম আহ্বায়ক বাংলাদেশ ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফারুক হোসাইন, লেবার পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট জহুরা জুঁই, যুব মিশনের আহ্বায়ক ইমরুল কায়েস, ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, ছাত্র মিশনের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন।