বৃদ্ধশ্রমে খাবার বিতরণ ‘বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবার’

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর উদ্যোগ
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর উদ্যোগ  © টিডিসি ফটো্

শোক দিবসে দেশের বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমে থাকা অবহেলিত বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর উদ্যোগে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রম’।

সংগঠনটির উদ্যোগে দেশের ১২টি বৃদ্ধাশ্রমে দোয়া মাহফিল, প্রার্থনা সভা, দোয়া মাহফিল পরবর্তী বিশেষ মধ্যহ্নভোজ ও চিকিৎসা উপকরণ বিতরণ করেছে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী।

আজ রবিবার (১৫ আগস্ট) সংগঠনটি দেশের গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, খুলনা, সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, রংপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, জামালপুর, গাইবান্ধা জেলার ১২টি বৃদ্ধাশ্রমে দুপুরে বিশেষ খাবারের আয়োজন করে। এছাড়া বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে চাল, ডালসহ খাদ্যসামগ্রী এবং চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

‘স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছো মোদের অধিকার, আমরা নবীন নিশ্চয়ই হবো গর্বিত অধিকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে গত বছরের ২৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অপূর্ব চক্রবর্তী ও দীপম সাহার উদ্যোগে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় হাইশুর বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম, ওষুধ, খাদ্য সামগ্রী, তাদের ব্যবহারের জন্য তোয়ালে এবং একটি টেলিভিশন বিতরণের মাধ্যমে এই স্বচ্ছাসেবী প্লাটফর্মটি যাত্রা শুরু করে।

হাইশুর বৃদ্ধাশ্রম থেকে যাত্রা শুরু হওয়া এই প্লাটফর্মটি গত ১২ মাসে দেশের ১২টি জেলার বৃদ্ধাশ্রমে চাহিদামত ১৫-২০ দিনের খাদ্যসামগ্রী, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও প্রবীণদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র বিতরণ করেছে। পাশাপাশি, ‘‘মুজিববর্ষের স্লোগান, তিনটি করে গাছ লাগান’’ এই স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে প্রতিটি বৃদ্ধাশ্রমে ১০টি করে ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করেছে।

এছাড়াও, করোনা মহামারিতে বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমে প্রবীণদের সাথে আনন্দ পূর্ণ সময় কাটানোর মাধ্যমে তাদের একাকিত্বের জীবনে মানবিক সঙ্গ প্রদান করছে এবং সাইকোলজিস্টের সাহায্য নিয়ে "টকিং কিউর" পদ্ধতিতে তাদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই কার্যক্রম প্রসঙ্গে সংগঠনটির অন্যতম উদ্যোক্তা ঢাবির থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অপূর্ব চক্রবর্তী অপু বলেন, ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও ১৫ই আগস্টের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। বঙ্গবন্ধু সবসময় মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি অধিকারবঞ্চিত মানুষ এবং অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করেছেন। শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বাংলাদেশের বৃদ্ধাশ্রমগুলোকে কেন্দ্রীয় করণের মাধ্যমে প্রবীণদের সেবা করতে চাই আমরা এই বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে।

আরেক উদ্যোক্তা ঢাবির থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী দীপম সাহা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার ক্রান্তিলগ্নে সবচেয়ে ঝুঁকিতে দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠী। জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকী তে শোক কে শক্তিতে পরিণত করে অবহেলিত সেই মানুষগুলোর পাশে আমরা আমাদের জায়গা থেকে দাঁড়ানোই কর্তব্য বলে মনে করেছি।


সর্বশেষ সংবাদ