সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে: খেলাফত মজলিস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২১, ১১:০৯ PM , আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২১, ১১:০৯ PM
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই আবাসিক হোস্টেলে থাকেন। বাইরে যাতায়াত কম থাকায় তাদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কম। এ কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে কওমি মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হোক।
আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন দাবি জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিস।
দলটির আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একদিকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। বহু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে নেমে এসেছে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের চেয়েও মারাত্মকভাবে করোনা আক্রান্ত ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতেও এত দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি। যেহেতু ১১ আগস্ট থেকে সারা দেশে সব কিছুই খুলে দেয়া হচ্ছে তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে দুই শিফটে নির্ধারিত দূরত্বে শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করা যেতে পারে।
খেলাফত মজলিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনুন। বিশেষ করে কওমি মাদ্রাসা ও হেফজখানাগুলো আগে খুলে দিন। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ আবাসিক হলে থাকায় সংক্রমণ ঝুঁকিও কম। এছাড়া করোনার সময়েও রমজানের আগে পর্যন্ত মাদ্রাসাগুলো খোলা ছিল, কিন্তু সেখানে ব্যাপক সংক্রমণের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরুর পাঠানো ওই বিবৃতিতে গণটিকা কর্মসূচির ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা বন্ধ করারও আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
এতে বলা হয়েছে, গণটিকা দান কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার যে চিত্র দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এ বিষয়ে যথাযথ প্রস্তুতির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। টিকা দিতে গিয়ে মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কেউ কেউ দুই তিন দিন কেন্দ্রে গিয়েও টিকা পাচ্ছেন না। গণটিকা কর্মসূচিতে এসব অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা দূর করে অবিলম্বে সকল নাগরিকের জন্য মানসম্পন্ন করোনা টিকা নিশ্চিত করতে হবে।