ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ

ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ
ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ  © ফাইল ফটো

মহামারি করোনাভাইরাসের অতি সংক্রমণ রোধে সরকার নির্দেশিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন শিথিলের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৪দিন পর সড়কে চলাচল শুরু করেছে দূরপাল্লার গণপরিবহণ। গত ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনে মানুষের সার্বিক চলাচল ও অন্যান্য কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকার পর আসন্ন ঈদুল আযহা কে কেন্দ্র করে বুধবার ১৪ জুলাই রাত বারোটার পর থেকে কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধের কড়াকড়ি প্রত্যাহার করা হয়। আর এই শিথিল অবস্থার প্রথম প্রহরেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষজন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে এমন চিত্রই দেখা যায়। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লকডাউন শিথিলের খবরে বুধবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন পরিবহণের কাউন্টারে বাড়তে থাকে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছোতে কেউ নিতে এসেছেন অগ্রিম টিকেট কেউবা আবার এসেছেন রাতেই ঢাকা ত্যাগের প্রস্তুতি নিয়ে। তবে অধিকাংশ পরিবহণের কাউন্টার থেকে আগামীকালের টিকেট বুকিং দেওয়া হচ্ছিলো। যদিও বেশ কিছু পরিবহণের কাউন্টার থেকে রাতের টিকেট বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে রাত বারোটা থেকে লকডাউন শিথিল হওয়ার ঘোষণা থাকলেও এর আগেই যাত্রী নিয়ে টার্মিনাল ছেড়ে যেতে দেখা যায় অনেক গাড়িকেই।

শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার যুবায়ের হাসান বলেন, মূলত আগামীকাল সকাল থেকেই ভালোভাবে বাস চালু করব। তবে আজ রাতেও কয়েকটি গাড়ি ঢাকা ছাড়বে। মানুষজন আসছে এবং টিকিটের চাহিদাও খুব বেশি। সরকারের যে নির্দেশনা রয়েছে সেটি অনুযায়ী আমরা দুই সিটে একজন করে যাত্রী নিচ্ছি। এবং ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছি। এছাড়াও গাড়িতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি যেন বজায় থাকে সেটি ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

কিন্তু দুই সিটে এজন করে যাত্রী নেওয়ার নিয়মের ফলে অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ ভাড়া নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেক যাত্রীরা। আহসান উদ্দিন নামের এক যাত্রী বলেন, অর্ধেক যাত্রী হলে অর্ধেক ভাড়া বাড়ানো যায় কিন্তু কোন যুক্তিতে অর্ধকেরও বেশি ভাড়া বৃদ্ধি করা হলো সেটি বোধগম্য নয়।

তবে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই দেখা যায়নি পুরো টার্মিনাল জুড়ে। টিকেট কাউন্টার গুলোতে যাত্রীরা একজন অপরজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে টিকেট কাটতে দেখা যায়। এছাড়াও অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায়নি। টার্মিনালের প্রবেশদ্বার গুলোতে ছিলোনা কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জীবাণুনাশকও।

প্রসঙ্গত, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকেই আগামী ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন এর বিধি নিষেধ শিথিল করেছে সরকার। তবে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুনরায় কঠোর লকডাউনের ঘোষণাও ইতোমধ্যে এসেছে।


সর্বশেষ সংবাদ