কঠোর লকডাউন

ঈদের আগে কিছু যানবাহন চলতে পারে

  © ফাইল ফটো

আসন্ন কোরবানির ঈদের আগেই যানবাহন চলাচল কিছুটা শিথিল করা হতে পারে। বিশেষ করে পশুর হাটে আসার জন্য সীমিত পরিসরে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া ঈদকে সামনে রেখে খুলে দেওয়া হতে পারে বিপণিবিতানও। আবার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদে সবাইকে কর্মস্থলে রাখারও চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

আজ সোমবার  (১২ জুলাই) সকাল থেকেই  কিছু সংবাদমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এই ধরনের তথ্য প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে আজ সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানা গেছে। এরপর মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। 

এদিকে মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই রাজধানীতে বেড়েছে যানবাহন। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে যানজট। এ ছাড়া ফেরিঘাটেও দেখা যাচ্ছে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ।

এর আগে রোববার (১১ জুলাই) বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, ১৪ জুলাইয়ের পরও বিধিনিষেধ থাকছে। তবে বিধিনিষেধে শিথিলতা থাকছে কি-না, সেটি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, যেহেতু ঈদ এবং কোরবানির হাট আছে, এ দুটিকে কীভাবে করলে সংক্রমণটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। হাটগুলোকে কত সুনিয়ন্ত্রিতভাবে করতে পারি সেটা নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। 

এদিকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সীমিত সময়ের জন্য দোকানপাট খোলার আবেদন জানিয়েছে দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি বাংলাদেশ। রোববার (১১ জুলাই) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেওয়া এক চিঠিতে এ আবেদন করেছেন তারা।

অন্যদিকে মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে কারফিউ বা ১৪৪ ধারা জারির পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল- এনসিডিসি পরিচালক ও অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। যা চলমান অবস্থায় গত ৫ জুলাই আরও ৭ দিনের জন্য বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ