স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ফোন দিলে ধরেন না, সংসদে অভিযোগ জি এম কাদেরের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২১, ০৬:৩৫ PM , আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২১, ০৬:৩৫ PM
নিজ নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাটের স্বাস্থ্যসেবার দুরবস্থা তুলে ধরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের অভিযোগ করেছেন, এসবের সমাধানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে ফোন করেও পাননি তিনি। শনিবার (৩ জুলাই) সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধীদলীয় উপনেতা এ অভিযোগ করেন।
জিএম কাদের বলেন, স্বাস্থ্য সেবা কমিটিগুলোর কোনো কর্তৃত্ব না থাকায় নিয়ম, আইন বা অর্থ বরাদ্দ এমন কিছুই থাকে না যাতে করে তারা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারেন।
“প্রায় সময় সিদ্ধান্ত বাস্তবে রূপ দিতে মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ প্রয়োজন পড়ে। ফলে, তাদের প্রধান কাজ হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা সরাসরি মন্ত্রীকে খুশি করে কাজটি বাস্তবায়ন করা।”
এসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় সহযোগিতা পাওয়া যায় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, “টেলিফোন করলে তারা ধরেন না। আমি মাননীয় মন্ত্রীকে ছয়-সাতবার টেলিফোন করেছি। উনি টেলিফোন ধরেন না। এরকম ব্যবহার পেয়েছি। পত্র দিলে কোনো উত্তর বা সমাধান মেলে না। সংসদ সদস্যরা অনেকেই তখন বাধ্য হয়ে সমাধানের লক্ষ্যে বিষয়গুলো সংসদে তুলে ধরেন। যদিও এরপর সমাধান তেমন একটা পাওয়া যায় না।”
রংপুর হাসপাতালে ডায়ালাইসিস মেশিনের পানি বিশুদ্ধকরণ অংশটি নষ্ট হয়ে প্রায় ৮ মাস ২৫টি ডায়ালাইসিস মেশিন অকেজো ছিল বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ৬ লাখ টাকা দান উঠিয়ে তা মেরামত করা হয়। এখনও ২৫ টির মধ্যে ১০টি কাজ করছে না।
জি এম কাদের বলেন, “বারবার মন্ত্রণালয়ে জানিয়েও ফল হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রায় দুই তিন মাস আগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সচিব মহোদয়কে মেরামতের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কোনো কাজ হয়নি।”
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, হাসপাতালে ৩টি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের মধ্যে ২টি নষ্ট, ইসিজি মেশিন আছে ৪টি, তার মধ্যে নষ্ট ২টি, ডায়াথার্মি মেশিন ৬টির মধ্যে নষ্ট ৫টি, ওটি লাইট ২টির মধ্যে নষ্ট ১টি, ডেলিভারি টেবিল ২টির ১টি নষ্ট, ওটি টেবিল ৬টির মধ্যে নষ্ট ৪টি, সাকার মেশিন ৫টির মধ্যে নষ্ট ৪টি। এছাড়া ১টি এনালাইজার মেশিন (সেমি অটো) ও ১টি সেন্ট্রি ফিউজ থাকলেও দুটিই নষ্ট।
লালমনিরহাট জেলা হাসপাতালের উদাহরণ দিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাদের বলেন, হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেন। সরকার তাদের কোনো পারিশ্রমিক দেয় না। চাঁদা দিয়ে এসব স্বেচ্ছাসেবীদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়।
কোভিড রোগীসহ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার জন্য কর্তৃপক্ষ কিছু যন্ত্রপাতি এবং ওষুধের চাহিদাপত্র দিলেও এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।