চার পাবলিক ও বার্ষিক পরীক্ষা না হলে যেভাবে মূল্যায়ন

করোনার কারণে চলতি বছরের চার পাবলিক পরীক্ষা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে
করোনার কারণে চলতি বছরের চার পাবলিক পরীক্ষা হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে  © ফাইল ফটো

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে আগামী ঈদের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা কম। ফলে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। একইসঙ্গে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি), প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), ইবতেদায়ি সমাপনী (ইইসি) ও বার্ষিক পরীক্ষাও অনিশ্চয়তায় পড়েছে। এ বিষয়ে এখন বিকল্প পরিকল্পনা শুরু করেছে সরকারের দায়িত্বশীলরা।

তবে এখন সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে রয়েছে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত মঙ্গলবার বলেছেন, ‘শিগগিরই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। আমরা জানি পরীক্ষার্থীরা উদ্বেগের মধ্যে আছে। আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করছি। শিগগিরই সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দেব। বেশিদিন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতে হবে না তাদের।’

জানা গেছে, এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিতে না চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির প্রয়োজন হবে। এ জন্য শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না গেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা দুই মন্ত্রণালয়। পরীক্ষা না হলে অটোপাসও দেওয়া হবে না। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘পিইসির ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। এখনো হাতে সময় আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয়, তখন বিকল্প চিন্তা করা হবে। আমাদের শিক্ষকেরা ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাড়ির কাজ দিচ্ছেন। সে কাজেই বেশি জোর দিচ্ছি।’

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা ওয়ার্কশিট আকারে বাড়ির কাজ দিচ্ছি। আট সপ্তাহের বাড়ির কাজ তৈরি রয়েছে। স্কুল না খোলা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চালানো হবে।’ প্রয়োজনে নতুন করে আরো বাড়ির কাজ তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পিইসি, জেএসসি ও বার্ষিক পরীক্ষার জন্য আগস্ট পর্যন্ত দুই মন্ত্রণালয় অপেক্ষা করতে পারে। আর এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস ও এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্মদিবসের সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। এ জন্য ছুটির দিন বাদে এসএসসি পরীক্ষার জন্য তিন মাস ও এইচএসসির জন্য চার মাস ক্লাস করাতে হবে। কিন্তু শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে তা সম্ভব হবে না। এ কারণে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়নের পরিকল্পনাও চলছে।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখন অ্যাসাইনমেন্টের ওপর জোর দিচ্ছি আমরা। ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না গেলে বিকল্প কী হতে পারে, সে পরিকল্পনাও করছি।’ এ বিষয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ