লকডাউনে ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার চাকরিজীবীদের ভোগান্তি

ঢাকায় প্রবেশে বাধা
ঢাকায় প্রবেশে বাধা  © ফাইল ফটো

ঢাকাকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে আশপাশের সাত জেলা- মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে কঠোর লকডাউন চলছে। চলবে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। এসব জেলা থেকে ঢাকায় প্রবেশপথে বসানো হয়েছে পুলিশের পাহারা।

এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকার ওই সব পার্শ্ববর্তী এলাকার বসবাসকারীরা। লকডাউন জারিকৃত অঞ্চলগুলো থেকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এমন অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন যাদের কর্মস্থান ঢাকায় অবস্থিত। আবার রাজধানীতে থাকা অনেক সরকারি-বেসরকারি ও জরুরি সেবাদানকারী দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানীর আশপাশের জেলাগুলোতে অফিস করেন। তারাও মঙ্গলবার একই ঝামেলা পড়েন। তাদের সকলের প্রশ্ন কীভাবে তারা দৈনিক অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করবে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উপ-সচিব পরিবার নিয়ে থাকেন গাজীপুরে নিজবাড়িতে। নিজের গাড়িতে অফিস করতে সচিবালয়ে আসা-যাওয়া করে আসছেন। মঙ্গলবার (২২ জুন) সকালে গাজীপুরের কাছে পুলিশ তার গাড়ি আটকে দেয়। অনেক বুঝিয়ে ও পরিচয় দিয়ে কোনোমতে এক ঘণ্টা দেরিতে সচিবালয়ে এস পৌঁছান তিনি। চিন্তায় আছেন, এভাবে প্রতিদিন আসা-যাওয়া সম্ভব? 

জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব, অর্থ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই উপ-সচিব থাকেন নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি। এর বাইরে রাজধানীর আশপাশের এসব জেলা থেকে সরকারি স্টাফ বাসে করেও অনেক কর্মচারী সচিবালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলোতে দায়িত্ব পালন করছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেট হাউস তো আছেই। যারা কোম্পানি বা নিজেদের গাড়িতে রাজধানীতে অফিস করছেন নিয়মিত। তাদেরও একই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে মঙ্গলবার। তাদেরও প্রশ্ন- আগামী দিনগুলোতে অফিস করবেন কী করে?

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবার (২১ জুন) জারি করা প্রজ্ঞাপনেও এ নিয়ে নির্দেশনা নেই। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে চেকপোস্টগুলোয় কড়াকড়ি আরও বাড়বে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, লকডাউন চলাকালে শুধু আইন-শৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, দমকল, নদীবন্দর, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

কিন্তু ভোগান্তিতে থাকা অনেকে অসিফ যাতায়াতের জন্য পাস ব্যবস্থার বিষয়ে ভাবতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।


সর্বশেষ সংবাদ