ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বন্ধ ক্যাম্পাসেও দিতে হবে সিটভাড়া ও পরিবহন ফি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২১, ১১:৫২ AM , আপডেট: ১৯ জুন ২০২১, ১২:৩১ PM
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর বন্ধ হয়ে যায় আবাসিক হলগুলোও। সচল ছিল না পরিবহন ব্যবস্থা। গত ১৫ মাসে আবাসিক হলে না থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে না চড়েও শিক্ষার্থীদের দিতে হচ্ছে সিটভাড়া ও পরিবহন ফি।
এ সময়ে আবাসিক হলে না থেকে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে না চড়লেও হল এবং পরিবহন ফি নেয়ায় বিপাকে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। তাই সব ধরনের ফি মওকুফের দাবি জানান তারা।
জানা গেছে, আগামী ১ জুলাই থেকে সশরীরে বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চলতি মাসের শুরুতে এ ঘোষণা দেয়া হলে শিক্ষার্থীদের ভর্তির তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।
এতে শিক্ষার্থীদের হল ইউনিয়ন ফি, বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়ন ফি, বিশ্ববিদ্যালয় খেলাধুলা ফি, হল খেলাধুলা ফি, ছাত্র/ছাত্রী কল্যাণ ফি, হলের সিট ভাড়া, বাসনাদি ফি, হেলথ কার্ড ফি, গ্রন্থাগার উন্নয়ন ফি, পরিবহন ফি দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে বিভাগভেদে ল্যাব ফিসহ অন্যান্য ফি।
হিসাব পরিচালকের দফতরের তথ্যমতে, হল সিট ভাড়া ৬০০ টাকা, বাসনাদি ফি ৫০ টাকা, হল ইউনিয়ন ফি ৬০ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়ন ফি ৬০ টাকা, হল খেলাধুলা ফি ৫০ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয় খেলাধুলা ফি ৫০ টাকা, ছাত্র কল্যাণ ফি ২৫ টাকা, হেলথ কার্ড ফি ৫০ টাকা, গ্রন্থাগার উন্নয়ন ফি ১২৫ টাকা, পরিবহন ফি ১০৮০ টাকা এবং হল আইডি কার্ড রিনিউ ফি ১৭০০ টাকা। জনপ্রতি মোট ৩৮৫০ টাকা ফি গুনতে হচ্ছে বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের। হল ভিন্ন হলেও আবাসিক-অনাবাসিকভেদে টাকার পরিমাণ অনেকটা কাছাকাছি।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি ও পরীক্ষার ফি ব্যতীত হল এবং অন্যান্য ফি পরীক্ষার পর পরিশোধ করতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাছাড়া সভায় করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার ভর্তির বিলম্ব ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার কারণে পরিবার আর্থিক সংকটে রয়েছে, সেখানে হলে না থেকে হল ফি, পরিবহন ব্যবহার না করে পরিবহন ফিসহ অন্যান্য ফি দেয়া হলে বিপাকে পড়তে হবে তাদের। এজন্য সব ধরনের ফি মওকুফের দাবি জানান তারা।
হল এবং অন্যান্য ফি পরীক্ষার পর পরিশোধ করার বিষয়ে তারা বলেন, এসব ফি আজ আদায় না করলেও এক বছর পর দিতে হবে। ফি পরিশোধ না করলে আটকে দেওয়া হবে একাডেমিক সনদসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।
এ ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের সকল কার্যক্রমই সচল আছে, সকল ব্যবস্থাই চলছে সীমিত আকারে হলেও। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলো সুবিধাই শিক্ষার্থীরা এখন ব্যবহার করতে পারছে না। এটা একেবারেই সত্য। লাইব্রেরি ব্যবহার করছে না, পরিবহন ব্যবহার করছে না, ক্লাস করছে না। এগুলো খুবই বাস্তব। তারপরেও প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থাগুলো আমাদের সচল রাখতে হয় এবং সেগুলোর পুনঃ উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে হয়।
তিনি আারও বলেন, কীভাবে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করা যায় সেটি নিয়েও আমাদের ভাবতে হয়। কিন্ত প্রত্যেকটি সেক্টরই আমাদের সজীব রাখতে হবে। যদিও এই মুহুর্তে আমাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থী সেই সুযোগ-সুবিধাগুলো এখন নিতে পারছে না।