শিশুশ্রম বেশি কুড়িগ্রামে, সহায়তায় পিছিয়ে চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা কুড়িগ্রাম। প্রতি ১০০ জনের ৭২ শতাংশ দারিদ্র্যতার মধ্যে বাস করা এ জেলায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। এখানকার ১৯ শতাংশ শিশু কোনো না কোনো শ্রমে জড়িত। কুড়িগ্রামের পর বরগুনা ও দিনাজপুরে শিশু শ্রমিক রয়েছে যথাক্রমে ১৫ ও ১৪ শতাংশ। এছাড়া স্কুল সংশ্লিষ্ট সরকারের সহায়তা কর্মসূচির পায় চুয়াডাঙ্গার ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। যা দেশের সব জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ও ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘মাল্টিপল ইন্টিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে’ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে জুনে দ্বৈচয়নের ভিত্তিতে ৪ হাজার ৪০০ খানার তথ্য বিশ্লেষণ করে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। ১০ জুন জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। জরিপে শিশুর বয়স ধরা হয়েছে ৫ থেকে ১৭ বছর।
আরো পড়ুন রাজধানীতে দুই বাসের মধ্যে পড়ে প্রাণ গেল ছাত্রের
শিশুশ্রম বিষয়ে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম বলেন, এ জেলায় দারিদ্র্যতার পাশাপাশি শিক্ষা সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা কম। সচেতনতা ও সঠিক শিক্ষার অভাবই এখানকার শিশুশ্রমের অন্যতম কারণ। স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গেলে শিশুশ্রম কমানো সম্ভব বলেও মনে করেন জেলা প্রশাসক।
এছাড়া জরিপে উঠে এসেছে, স্কুল সংশ্লিষ্ট সরকারের যেসব সহায়তা কর্মসূচি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম পায় চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা। এ জেলার প্রতি ১০০ জনের মাত্র ৩৩ জন সহায়তা পায়। চুয়াডাঙ্গার পর সবচেয়ে কম সহায়তা পায় পঞ্চগড়ের শিক্ষার্থীরা। যা মাত্র ৪২ শতাংশ।
তবে স্কুল সংশ্লিষ্ট সরকারের সহায়তা কর্মসূচির সবচেয়ে বেশি পায় মুন্সিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। সেখানকার ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী সহায়তা পেয়ে তাকে বলে জরিপে উঠে এসেছে। এর পর রয়েছে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা।