১৪ বছরের ছাত্রীর পিটিশনে স্বাক্ষর দিলের বিজ্ঞানী সালিমুল হক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ জুন ২০২১, ০৯:১৭ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৩:৪৬ PM
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৪ বছরের স্কুল শিক্ষার্থীর এক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক সালিমুল হক। জাতীয় সংসদে গৃহীত গ্রহজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণা বাস্তবায়নে পথনকশা ও স্কুল পাঠ্যক্রমে জলবায়ু সংকটকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে কিশোরী আরুবা ফারুকের এই আবেদনটিতে। ফ্রাইডেস ফর ফিউচার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সোহানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জলবায়ু কর্মী আরুবা গত ১৯ মার্চ বৈশ্বিক ভবিষ্যতের জন্য জলবায়ু ধর্মঘটের দিবসে এই পিটিশনটি চালু করে পিটিশনটি বাংলাদেশের শিশুদের মাধ্যমে প্রবর্তিত প্রথম, যা জাতীয় পিটিশন হয়ে ওঠে পিটিশনটি অনলাইনে এবং ব্যক্তিগতভাবে উভয় প্রচারের মাধ্যমে ১ জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ এর অধিক স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে।
এতে সমর্থন জানিয়ে জলবায়ু বিজ্ঞানী অধ্যাপক সালিমুল হক বলেন, ‘দেশের প্রতি আরুবার অনুকরণীয় অবদান দেখে আমি সত্যিকারেই মুগ্ধ হয়েছি। বাংলাদেশ সংসদ কর্তৃক ঘোষিত গ্রহজনিত জরুরি অবস্থা বাস্তবায়ন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রমের জলবায়ু পরিবর্তনকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশকে জন্য পিটিশনটিকে সমর্থন করে আনন্দিত হয়েছি।’
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের পরিচালক ও ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) অধ্যাপক ড. সালিমুল হক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী হিসাবে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন এবং উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জাতিসংঘভুক্ত সংস্থা আইপিসিসির সাথেও যুক্ত রয়েছেন।
তিনি জার্মানির বার্লিনে ১৯৯৫ সালে প্রথমবারের থেকে শুরু হয়ে ধারাবাহিকভাবে ২৫ টি জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ) সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। জাতীয় পরিবেশ পদক বিজয়ী এবং রয়টার্সের বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী জলবায়ু বিজ্ঞানীদের হটলিস্টে স্থান পাওয়া একমাত্র এই বাংলাদেশি বিজ্ঞানী।
পিটিশন উত্থাপণকারী নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী আরুবা বলেন, ‘২০১৯ সালে ১৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদ প্রশংসনীয়ভাবে একটি গ্রহজনিত জরুরি অবস্থা ঘোষণাপত্র গ্রহণ করলেও এর পরে ১৮ মাসে দৃশ্যমান তেমন কিছু ঘটেনি। তাই রাজনৈতিক নেতাদের দ্রুততার সাথে পথনকশা প্রণয়নে তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। আমাদের বিদ্যালয়গুলোতেও জলবায়ু সংকট এবং প্রজাতির ষষ্ঠ গণ-বিলুপ্তির মাধ্যমে যে বিপদসমূহ সৃষ্ট হতে পারে সেই বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে সব স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করার আরো প্রচেষ্টা এখনই গ্রহণ করা উচিত।’
মানব সৃষ্ট বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকবিলায় সমমনা তরুণদের নিয়ে কাজ করে যাওয়া আরুবাকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ব পরিবেশবাদী সংগঠন কনসায়েন্সল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠতম দূত মনোনীত করে। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক একটি রেডিও প্রোগ্রাম স্টেশন দ্য সাসটেইনেবল আওয়ার আরুবাকে ‘বাংলাদেশের গ্রেটা থানবার্গ’ নামে অভিহিত করেছে।
আরুবা ফারুক এবং তার বাবা-মা, ছোট ভাই এবং শিশু বোন সকলেই বাংলাদেশের নোয়াখালিতে থাকেন। আরুবার পিটিশনটি পেতে ভিজিট করুন: (https://cutt.ly/KnAGP5L)।