বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি পোষাতে বিশেষ পরিকল্পনা জানানো হতে পারে আজ
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ১৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে সরাসরি পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বড় ক্ষতির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ পরিস্থিতিতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পৃথকভাবে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সোমবার (৩১ মে) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এ বৈঠক হয়। এর সিদ্ধান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আজ মঙ্গলবার (১ জুন) বিস্তারিত জানিয়ে দেবে বলে জানা গেছে। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
করোনার কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহসহ ইউজিসির সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাড়াও সংশ্লিষ্টরা যোগ দেন।
করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেলের ৪০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে সাংবাদিকদেরকে এ বিষয়ে তথ্য না দিতে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে একমত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি।
একটি সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি বৈঠকে। তবে আবাসিক শিক্ষার্থীদের সবার আগে টিকা দেওয়া হবে। খুব শিগগিরই বিশেষ প্রক্রিয়ায় তাদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর অন্যদের টিকা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইনে ও সশরীরে পরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।