লকডাউন: ৫ মে’র পর কী হবে—যা জানা যাচ্ছে

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ ঈদ পর্যন্ত সীমিত পরিসরে বহাল থাকতে পারে
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধ ঈদ পর্যন্ত সীমিত পরিসরে বহাল থাকতে পারে  © ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। চলমান এ বিধিনিষেধ আগামী ৫ মে পর্যন্ত চলবে। এরপর নতুন নির্দেশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৫ মে’র আগেই সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে। সেখানে সভার বিধিনিষেধ বাড়ানো, শিথিল করা বা উঠিয়ে নেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এ বিধিনিষেধ ঈদ পর্যন্ত সীমিত পরিসরে বহাল থাকতে পারে বলে ইতিমধ্যে ইঙ্গিত মিলেছে। এছাড়া গণপরিহনও সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছে বলেন, ‌‘সভাটি ৫ মের আগেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ভার্চুয়াল সভায় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। বিধিনিষেধ নিয়ে সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। তবে তা তেমন কার্যকর হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট অনেকে মনে করছেন। পরে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল, এরপর ২৮ এপ্রিল এবং সর্বশেষ ৫ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ বিষয়ে নতুন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এছাড়া ভারতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায় গত ২৫ এপ্রিল দেশটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। ১৪ দিনের জন্য দু’দেশের সীমান্ত বন্ধ থাকবে। এরমধ্যে গত ২৬ এপ্রিল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ভারতের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। আমাদের দেশেও সেটি ছড়িয়ে যেতে পারে। সেজন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’


সর্বশেষ সংবাদ