স্কুল-কলেজ খুলতে সরকারের অপেক্ষা করা উচিৎ: ডা. নজরুল ইসলাম
করোনার সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে হিসেবে ছুটি ফের বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবার ভিন্নভাবে ছুটি বাড়াতে চায় বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এর আগে ১৫ দিন কিংবা একমাস করে ছুটি বাড়ানো হয়। এ ধারা থেকে বেরিয়ে এবার টানা ছুটি দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনায় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। আগামীকাল শুক্রবার ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানের পর করোনা মোকাবিলায় গঠিত কারিগরি পরামর্শক কমিটিসহ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
এ প্রসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার, তখন সংক্রমণ কম ছিল, এখন বেড়েছে। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিবেশ নেই।’
তিনি বলেন, ‘করোনার নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে খোলা যায়। এখন ১৩ শতাংশ, যা অনেক বেশি। করোনা এপিডেমিক লেভেলে আছে। পাঁচ শতাংশের নিচে গেলে এনডেমিক লেভেলে যাবে, তখন খোলা যাবে। সরকারের স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অপেক্ষা করা উচিত। সংক্রমণ কমলে তখন খুলবে।’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ধাপে ধাপে নয়, ভিন্নভাবে ছুটি দেওয়ার চিন্তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। আলোচনায় আগামী ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ না খোলার জন্য প্রায় সবাই সম্মত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবারও এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও একই কথা বলছেন। এরমধ্যেই সর্বশেষ বুধবারও তিন হাজার ৫৬৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। শনাক্ত রোগী বিবেচনায় গত বছরের জুলাইয়ের পর এটি সর্বোচ্চ শনাক্ত।