শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গোপনে বিদ্যালয় ভবন বিক্রির অভিযোগ

মানচিত্র
মানচিত্র  © সংগৃহীত

কুষ্টিয়ায় এক উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, এক সহকারী শিক্ষক ও দুই ক্রেতার বিরুদ্ধে গোপনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘর বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার (১৪ মার্চ) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শানপুকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম কুমারখালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন, শানপুকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও দুই ক্রেতা শানপুকুড়িয়ার ইয়াছিন আলী বিশ্বাস ও বাচ্চু শেখ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে স্কুলের চারচালা আধাপাকা ঘর গোপনে বাচ্চু শেখের কাছে বিক্রি করেছেন। ঘরের ক্রেতা বাচ্চু শেখ ৬ মার্চ রাতে ঘরটি ভেঙে জিনিসপত্র বাড়িতে নিয়ে যান। বিক্রি করা ঘরটির ইট, কাঠ, বাঁশ, সিমেন্টের খুঁটি ও টিনের দাম আনুমানিক দেড় লাখ টাকা।

হারুন অর রশিদ সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুনের সহযোগিতায় ঘরটি বিক্রি করেছেন বলেও জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ঘন বিক্রি করেছেন জানিয়ে সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, বিক্রির টাকা বিকাশের মাধ্যমে তাকে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ দায়েররে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিষয় থাকায় থানায় জিডি করে কুষ্টিয়া জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনারের উপপরিচালক বরাবর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ