গবেষণার মধ্য দিয়ে উৎকর্ষতা অর্জন করা যায়: প্রধানমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২১, ০২:২২ PM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২১, ০২:৫৬ PM
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ হিসেবে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপ এবং গবেষণায় অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দিয়েছেন। বক্তব্যে তিনি গবেষণা ও শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষাকে খুব গুরুত্ব দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন অবাক হয়ে দেখলাম বিজ্ঞানের জন্য কোনোরকম বরাদ্দ ছিল না। গবেষণার জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না। এমনকি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আমরা যদি দেখি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এটা অগ্রগতি সাধন করার একটা উপায়। গবেষণার ছাড়া বা বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষা ছাড়া কীভাবে একটা জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে? বিজ্ঞানের যুগে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার করার পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা শিক্ষাকে বহুমুখী করা এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি। সেই লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষার প্রসারে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
গবেষণা উন্নয়ন ও ফেলোশিপ বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১০-১১ অর্থ বছর থেকে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছর পর্যন্ত ৮ হাজার ৫৯৬ জনকে ১৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। ফেলোশিপের পাশাপশি এমফিল ও পিইচডি পর্যায়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা উন্নয়ন কাজে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে বিশেষ অনুদান দেয়া হয়। ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছর পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৮২টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৫২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা গবেষণায় অনুদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, গবেষণা খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছে। গবেষণার ফলে লবণাক্ত এলাকায় ধান চাষের জন্য বিশেষ ধান আবিষ্কার করা হয়েছে। খরায় ফলন হতে পারে এমন ধানের আবিষ্কারও দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। এখন জলমগ্ন অবস্থায় ধান হতে পারে কিনা সেটা নিয়ে গবেষণা চলছে।
তিনি আরো বলেন, আগে আমরা বিদেশে গিয়ে স্ট্রবেরি খেতাম এখন সেটা দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু মাত্র গবেষণার ফলে। গবেষণার মধ্য দিয়ে উৎকর্ষতা অর্জন করা যায়। বিজ্ঞান আমাদের পথ দেখায়।