করোনায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষাতে লাগেবে ১০ মাস

করোনার কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক
করোনার কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের কারণে সরাসরি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি ৮০ লাখ শিক্ষার্থী। এতে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ার আশঙ্কা করেছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া বাল্যবিয়ে বেড়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশে ছয় থেকে ১৭ বছর বয়সি প্রায় ৭০ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে আছে। তবে করোনার প্রভাবে এ সংখ্যা আরও অন্তত ৩৫ হাজার বাড়তে পারে। এ সংখ্যা নগন্য হলেও দেশের শিক্ষায় অগ্রগতি স্কুল বন্ধ থাকার কারণে হুমকিতে রয়েছে। বিশেষত মেয়ে ও অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দুর্গম, পাহাড়ি ও চরাঞ্চলের অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষার বাইরে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

স্কুল বন্ধের থাকায় শিক্ষাব্যবস্থায় এর প্রভাব নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করে বিশ্বব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের সংকট কাটাতে সরকার খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইল ফোন, অনলাইনসহ নানা মাধ্যমে  শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় স্কুল বন্ধের প্রভাবও ভিন্ন হবে।

অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের ওপর স্কুল বন্ধের প্রভাব বেশি পড়বে। এছাড়া করোনার কারণে আয় কমে যাওয়া পরিবারগুলোয় শিক্ষার্থী ঝরে পড়া বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিবেদনে এসব দরিদ্র পরিবারে বাল্যবিয়ে বেড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা করেছে বিশ্বব্যাংক। ‘এ সিমুলেশন অব কোভিড-১৯ স্কুল ক্লোজার ইমপ্যাক্ট অন স্টাডি লার্নিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এর আগে ২০১৭ সালে এক জরিপে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে প্রাথমিকে ৫৭ ভাগ শিশু সঠিকভাবে লিখতে ও পড়তে পারে না। স্কুল বন্ধ থাকায় এই হার আরো ১৮ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, পুষিয়ে নিতে অন্তত ছয় থেকে ১০ মাস লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক।


সর্বশেষ সংবাদ