ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই হবে: প্রতিমন্ত্রী

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা  © ফাইল ফটো

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ উন্নত ও অনুন্নত সকল দেশের সব বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। শিশুরা সবচেয়ে বেশি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমান সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসতে শুরু করেছে।

করোনায় অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অচিরেই এই সংকট কেটে যাবে। আবার শিশুরা মাঠে খেলবে ও স্কুলে যাবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার সকল বিভাগীয় শহর ও ফরিদপুরে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপশি টেলিফোনে ও অনলাইনে ২৪ ঘণ্টা মনোসামাজিক কাউন্সেলিং সেবা দিয়ে আসছে।

এদিকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, যেহেতু জনগণের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে, ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন থেকে বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড করার। সেহেতু এটা সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। কারণ আইন মানুষের জন্য।

এর আগে গত মঙ্গলবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্বরতার চরম সীমায় পৌঁছেছে তারা। আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ রকম মানুষ সমাজবিরোধী, এরা অমানুষ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ধরনের গাফিলতি দেখায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দু’জন ছাড়া সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ