ইউএনওর ওপর হামলায় যুবলীগের আসাদুলের সম্পৃক্ততা নেই: ডিআইজি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:৪২ PM , আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:৪২ PM
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তাঁর বাবা ওমর আলীর ওপর হামলার ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আসাদুল জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য। যদিও এর আগে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে হামলায় সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন আসাদুল।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে র্যাবের হাতে আটক আসাদুল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। এই ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়গুলো তদন্ত করা হবে।
দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ইউএনওর ওপর হামলায় ব্যবহার করা মই ও হাতুড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। যাদেরকে সন্দেহ করেছি, তাদেরকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। রবিউল নামের যে আসামিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি, সে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। একই সঙ্গে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বেশ কিছু আলামত জব্দ করেছি। আসামি ও আলামত, সংগ্রহ করা সিসিটিভির ফুটেজের সঙ্গে আমরা মিলিয়ে দেখেছি। গ্রেপ্তারের পর আমরা তাকে আদালতের কাছে সোপর্দ করে রিমান্ডে চেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছি। এখন তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করবো এবং ঘটনার বিষয় বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, রবিউলকে গ্রেপ্তারের পর রাতেই তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। রবিউলের উদ্দেশ্য কী ছিল তা জানতে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ত ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। আহত বাবা-মেয়েকে গতকাল সকালে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি এখন ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন। ওয়াহিদার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।