বর্ষায় ভাঙা সড়ক সংস্কার করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা
- মো. ইখতিয়ার উদ্দিন
- প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২০, ১১:০৭ PM , আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০, ১১:১৬ PM
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু থানার ভেড়াখালী গ্রামের পাকা সড়কে বেশ কিছু জায়গায় ভেঙে বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। এই রাস্তা জেলা শহরে যাওয়ার অন্যতম পথ। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় এ পথে মানুষের যাতায়াতে দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। আর এ ভাঙা রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ভেড়াখালী যুব উন্নয়ন সংঘ’।
জানা গেছে, থানার প্রধান সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা এই গ্রামের উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে ছোট-বড় প্রায় ৩০০-৪০০ গাড়ি যাতায়াত করে। বর্ষার আগেই গ্রামের মধ্যে রাস্তায় ছোট ছোট ভাঙন তৈরি হয়। টানা বৃষ্টির কারণে রাস্তার এসব জায়গা ভেঙে বড় গর্ত তৈরী হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। অনেক সময় ইজিবাইক বা ছোট ধরনের যানবাহন রাস্তার বড় ভাঙা গর্তে আটকে যায়। তখন গাড়ি ওঠাতে যাত্রী অথবা স্থানীয়দের সহযোগিতা নিতে হয়। এছাড়া এসব স্থানে প্রায় সময় ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটে। এ ভাঙা রাস্তা সংস্কারের জন্য বুধবার ও বৃহস্পতিবার ২৫ জন যুবককে সকাল থেকে বিকাল পযর্ন্ত কাজ করতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, গ্রামের রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে আমরা নিজ উদ্যোগেই রাস্তা সংস্কারের কাজ করছি। রাস্তায় প্রায় ১০ টলি ইটের টুকরা ও ২ টলি বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এ কাজের মালামাল ৩ কিলোমিটার দূর থেকে গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়েছে।
তারা জানান, মালামাল গাড়িতে উঠানো ও নামানোর জন্য কোন শ্রমিক ভাড়া করা হয়নি। স্বেচ্ছাশ্রমে শিক্ষার্থীরা মালামাল উঠানো, নামানো ও সংস্কারের সব কাজই করেছে।
রাস্তার গাড়ী চালকরা জানিয়েছে, গ্রামের মধ্যে রাস্তার ভাঙা অংশগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এ রাস্তা সংস্কারে আমাদের সবার জন্য অনেক ভালো হয়েছে। গ্রামের মধ্যে সংস্কার করে চালকদের কাছ থেকে যুবকরা কোন টাকা নেয়নি, এটা একটি বিরল ঘটনা।
এই সংস্কার কাজে অংশগ্রহণ করেন রাসেল, অনিক, তরিকুল, ইমন, সুলতান, সিফাত,সাইদ, নয়ন, শাইম, অন্তর, হারুন, স্বপন, পারভেজ, শান্তসহ আরও অনেক শিক্ষার্থী।
ঢাকা কলেজের ছাত্র মো. মঞ্জুর রশীদ বলেন, রাস্তায় যানবাহন যাতে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে এ জন্য দেশের সচেতন নাগরিক হিসাবে আমরা এ সংস্কার কাজ করছি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাইমুর রশীদ বলেন, শহর বা গ্রামের যে সব রাস্তা বৃষ্টির কারণে ভেঙে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব স্থানে শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে কাজ করলে সাময়িকভাবে হলেও দেশের মানুষের উপকার হবে।