ফিরে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর প্রথম ক্রেন

কাজ শেষে নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো সেতুর কাজে যুক্ত হওয়া প্রথম ফ্লোটিং ক্রেন। ২০১৫ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি এই ফ্লোটিং ক্রেন যখন নিয়ে আসে, তখন এটিকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পদ্মা সেতুতে এ যাবত বিভিন্ন ধরণের ১২০টি ক্রেন ব্যবহার হচ্ছে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, ২০১৫ সালে সেতুর ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রথম যে ক্রেনটি বাংলাদেশে আনে তার নাম ছিল রুইহ্যাঙ্গ-৫। এর লিফটিং ক্ষমতা ১০০০ টন (৯০% যার ক্ষমতা ২০ টন ওজনের ৫০টি ট্রাক একবারে তুলে ধরতে পারে তাও আবার পানিতে) এবং এটি ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে যে কোন দিকে কাজ করতে পারে।

মূল সেতুর এক একটি পাইলের ওজন ছিল ৫১৪ টন। এটি মূল সেতু এবং নদীর উপর দিয়ে ৪০০ কেভিএ বিদ্যুৎ লাইনের পাইল ড্রাইভিং এর সময় পাইল লিফটিং ও পজিশনিং এর কাজ করতো (ঠিকমত ধরে রাখতো)। এ ক্রেন এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এর উপরে আরও ২টি ৫০ টন ও ১০০ টনের ক্রেন রয়েছে যা দিয়ে তার নিজেরসহ অনেক কাজ করা যায়। এ ক্রেন যখন মাওয়া আসে তখন সেতুর ঠিকাদার ও প্রকৌশলীরা একে ফুল দিয়ে বরণ করে।

বুধবার সেতুর ৩০তম স্প্যান (যা এ মাসের শেষ বসবে) এর লিফটিং ক্রেন পিয়ার-২৭ এর উপর উঠিয়ে দিয়েই এ প্রকল্পে এর কাজ শেষ করলো। ক্রেনটি মাওয়া ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে নিজ দেশ চীনে যাবে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রকল্প হতে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ক্রেনটির। তাছাড়াও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের আরও একটি ১০০০ টন ক্ষমতার ক্রেন রয়েছে যা পরবর্তী অবশিষ্ট ১২টি স্প্যানের কাজ চালিয়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই এটি মাওয়া থেকে বিদায় নিয়ে চীনের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়লো।


সর্বশেষ সংবাদ