করোনার চিকিৎসা দিচ্ছে চট্টগ্রাম ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল

  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চলবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম হওয়ায় বিমানবন্দর বা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা কারো এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাদের এই হাসপাতালে পাঠানো হবে।

এছাড়া চট্টগ্রামের যেকোনো জায়গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হলে পাঠাতে হবে এ হাসপাতালে। এর আগে গত কয়েক দিন আগে চীন ফেরত তিন শিক্ষার্থী ফৌজদারহাট বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ভর্তি হয়।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকসাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) বা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চালু রয়েছে ১০ শয্যার দুটি ইউনিট। চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে প্রথমে ওই হাসপাতালে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারীদের করোনাভাইরাসের বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটের দুটি কক্ষে আইসোলেটেড ইউনিট খোলা হয়েছে। যেখানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য দুটি ইউনিট প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চট্টগ্রামের প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলে ফৌজদারহাটে পাঠাতে হবে। বিমানবন্দরে ও সমুদ্র বন্দরে সর্তকতা জারি রয়েছে। ওখানে অতিরিক্ত ডাক্তার ও সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে। এ মুহূর্তে আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। সচেতন ও সতর্ক থাকলেই হচ্ছে।

এর আগে সীতাকুন্ড উপজেলার একটি শিপইয়ার্ডে ১৭ চীনা নাগরিক ৫ দিন ধরে জাহাজে আটকে থাকেন। পরে কর্তৃপক্ষ সহায়তায় তারা চট্টগ্রাম শাহ্ আমানত বিমান বন্দর হয়ে নিজ দেশে ফেরত যান।


সর্বশেষ সংবাদ