১৪ ফ্রেব্রুয়ারি সব প্রাইভেট-কোচিং সেন্টার বন্ধের দাবি তাহেরীর

মাওলানা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী
মাওলানা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী  © ফাইল ফটো

আজ শুক্রবার ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের সব প্রাইভেট ক্লাস এবং কোচিং সেন্টার বন্ধসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছেন ধর্মীয় আলোচক মাওলানা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের গোলাপগঞ্জের কতোয়ালপুর (কাটারপাড়া) ও সবুজসাথী যুব সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত ১৩তম বার্ষিক ইসলামী সুন্নী মহাসম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি এসব দাবি জানিয়েছেন।

মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী বলেছেন, যে ভালোবাসার সাথে কোরআন সুন্নার কোন সম্পর্ক নেই সেটা ভালোবাসা দিবস হতে পারে না, এটা বেহায়া দিবস। যুগে যুগে যারা নবী-রাসূলকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবেসেছে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভালোবাসার জন্য নির্দিষ্ট কোন কোন কিছুর প্রয়োজন নেই। ভালোবাসা হতে হবে একমাত্র আল্লাহ এবং তার রাসূলের জন্য।

তিনি বলেন, ভালোবাসা জন্য নির্দিষ্ট তারিখ প্রবর্তন করা একটা ধর্মীয় চক্রান্ত। আমাদের ভালোবাসা একদিনের জন্য নয়, আল্লাহ ও তার রাসূলকে আমরা নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসি। এসময় তিনি ভালোবাসা দিবসের নামে ধর্মীয় চক্রান্তকারীদের রুখে দেওয়া কথা জানিয়েছেন।

তার ৪ দফা দাবিসমূহ হলো-
১. ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি সব ফুলের দোকান বন্ধ থাকবে।
২. শিক্ষার্থীদের কোচিং এবং প্রাইভেট ক্লাস বন্ধ থাকবে।
৩. পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে।
৪. এদিন সকাল বেলা কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে মা এবং রাসূলকে ভালোবেসে ভালোবাসা দিবস পালন করতে হব।

এদিকে আজ ভালোবাসা দিবসের সঙ্গে একইভাবে পালিত হবে পহেলা ফাল্গুনও। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সংশোধনের কারণে এখন থেকে বাংলা ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবস একইদিনে পালিত হবে। এতোদিন ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন পালিত হতো, আর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালন করা হতো ভালোবাসা দিবস। তবে এখন থেকে দুটি দিবসই বাংলাদেশে একই দিনে পালিত হবে।

গত বছর ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে ২০২০ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছুটির তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে।

বাংলা একাডেমির গবেষণা, সংকলন এবং অভিধান ও বিশ্বকোষ বিভাগের পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বরের মতো ঐতিহাসিক দিবসগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে সংশোধন আনা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ