স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’
- বাসস
- প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৪৭ AM , আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৫৯ AM
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ দুর্বল হয়ে উত্তর- উত্তরপূর্ব দিকে ঘন্টায় প্রায়িআট কিলোমিটার বেগে গতকাল রাত ৯টার দিকে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে শুরু করে।
খুলনা পেরিয়ে রবিবার সকালবেলা সাতক্ষীরা ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে আঘাত হানে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভোর পাঁচটায় ‘বুলবুল’ সুন্দরবনের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করে।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে এটি। আর সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ‘বুলবুল’র অস্তিত্ব নেই। এটা এখন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ সহ ঘন্টায় ১শ’ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।
ঘূর্ণিঝড় ও মুন ফেজ এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর,বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কেলামিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদধ বন্দরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ (নয়) নম্বর মহবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।