সরকারি নির্দেশনার পরও বন্ধ হয়নি কোচিং সেন্টার
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:৫৮ AM , আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৫ AM
জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সে নির্দেশনা উপেক্ষা করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর ফার্মগেটের প্রায় সবগুলো বিসিএস কোচিং তাদের কার্যক্রম আগের নিয়মেই চালিয়ে যাচ্ছে। ফার্মগেটের বিসিএস কনফিডেন্স, বিসিএস কনফার্ম এবং ওরাকল কোচিং সেন্টারে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিএস কনফার্ম কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষার্থী জানান, তাদের কোচিং সেন্টারে সব কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। কোচিং কার্যক্রম চলবে না বন্ধ থাকবে সেটা নির্ভর করে কোচিং কর্তৃপক্ষের উপর। আমাদের কোচিং করা প্রয়োজন তাই ক্লাস করতে এসেছি।
তবে নির্দেশনা অমান্য করে কোচিং খোলা রাখার কথা অস্বীকার করেছেন অধিকাংশ কোচিং সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রাঞ্চ ম্যানেজাররা। কোচিং খোলা রাখার বিষয়ে ওরাকল কোচিং সেন্টারের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা কোচিং বন্ধ রেখেছি। কিছু শিক্ষার্থী বই নেয়ার জন্য কোচিংয়ে এসেছেন।
এ বিষয়ে বিসিএস কনফিডেন্স ফার্মগেট শাখার পরিচালক মো. জিয়াউল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশাল স্টাফ রয়েছে। কোচিং বন্ধ করলে তাদের বেতন কীভাবে দিবো। সরকার যদি কোচিং বন্ধ রাখলে আমাদের ভর্তুকি দেয় তাহলে আমরা কোচি বন্ধ রাখবো।
বিসিএস কোচিং সেন্টারগুলো খোলা থাকার কথা স্বীকার করে অ্যাসোসিয়েশন অব শ্যাডো এডুকেশন বাংলাদেরশে যুগ্ন আহবায়ক মাহবুব আরেফিন বলেন, সরকারি কোন নীতিমালা না থাকায় বিসিএস কোচিং সেন্টারগুলো সরকারি নির্দেশ মানছেন না। তাদেরকে অনেকবার বলার পরেও তারা আমাদের কোনো কথা শুনছেন না। সরকার যদি কোচিং সেন্টারগুলোর জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে তাহলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি।